প্রতিবছর একজন নবীন কবির অভিষেকের ধারণা ও উদ্যোগটি কুড়ি বছর ধরে প্রকাশিত একুশের সংকলনের সম্পাদকের। নতুন প্রতিভা আবিষ্কার ও তাকে স্বীকৃতি প্রদানের স্বপ্নের উদগাতা তিনি।
নবীন কবিদের জন্য কবি-অভিষেক শীর্ষক ব্যতিক্রমী আয়োজনটি ২০২১ থেকে শুরু হয়েছে। তৃতীয় ‘কবি-অভিষেক’ সম্প্রতি পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো। এতে সভাপতিত্ব করেন লেখক-গবেষক আহমাদ মাযহার। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি কামরুল হাসান। তিনি বলেন, কবিতার দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিমিতি ও আড়াল, জবা রায়ের কবিতায় তা রয়েছে।
কবি-অভিষেক আয়োজনের জন্য দেশের নবীন কবিদের কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি আহ্বান করা হয়। প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপিসমূহ থেকে বিচারকমণ্ডলী ‘বিষাদ বাহিত ডানা’-কে নির্বাচন করেন। যেটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।
অনুষ্ঠানে অভিষেক ঘটল ওই গ্রন্থেরই কবি জবা রায়ের। তাঁকে শুভেচ্ছা-স্মারক ও অর্থ উপহার দেওয়া হয়। কবি-অভিষেক আয়োজনটি স্পন্সর করছে সুপারশপ স্বপ্ন। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন লিজা চৌধুরী।
উল্লেখ্য, একুশের সংকলন চায় নির্মোহভাবে, সত্যিকার মেধাবীদের তুলে আনতে। বিগত তিন বছরে যে তিনজন নবীন কবি পুরস্কার পেলেন তারা কেউ রাজধানীর নন। অনুভব আহমেদের বাড়ি মৌলভীবাজার, সৈয়দ রেজা পারভেজের কক্সবাজারে এবং জবা রায় ময়মনসিংহের সন্তান। চিত্রকলার এ ছাত্রী হাজং সম্প্রদায়ের।
প্রায় দুই দশক যাবত একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়ে আসছে মহান একুশে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সিক্ত ‘একুশের সংকলন’। এক যুগ আগে ভাষার মাসে আয়োজিত মাসব্যাপী বইমেলার হাজার হাজার নতুন বই থেকে মানসম্পন্ন গ্রন্থ বাছাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে একুশের সংকলন। এর ফলস্বরূপ দেশে নির্বাচিত ৫০টি বইয়ের পরিচিতিমূলক রঙিন ক্রোড়পত্রের প্রকাশনা শুরু হয়, প্রতিবছর যা গ্রন্থপ্রেমীদের নতুন বই বাছাইয়ে সহায়ক ভূমিকা রেখে চলেছে।
কবি-অভিষেক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একুশের সংকলনের সম্পাদক কবি মারুফ রায়হান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এমজেএফ