ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঢাকা: চির নুতনেরে দিল ডাক/ পঁচিশে বৈশাখ। আজ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সাল) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের ১৬২ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালির জীবন ও মানসে তার উপস্থিতি এখনো দেদীপ্যমান।

রবীন্দ্রনাথের রচনায় মানুষের যাবতীয় আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, অভিব্যক্তির অতুলনীয় প্রকাশ ঘটেছে। বাঙালির সব সমস্যা-সংকটে তার গান, কবিতা জুগিয়েছে সাহস ও প্রেরণা। সবকিছু ছাপিয়ে আছে তার শান্তি, কল্যাণ ও বোধের প্রতি সুগভীর প্রত্যয় ও নিরন্তর কামনা। একেই তিনি নানা রূপে ছড়িয়ে দিয়েছেন তার বহুমাত্রিক সৃজনকর্মে। সাহিত্যে তার নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য বয়ে এনেছিল বিশ্বের গৌরব। যে গীতাঞ্জলির জন্য তার এই নোবেল পুরস্কার অর্জন, সেই গীতাঞ্জলি এবং আরও অনেক বিখ্যাত রচনা বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতেই। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ এদেশের জাতীয় সংগীত।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে এ দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল প্রেরণার বিশেষ উৎস। শেখ হাসিনা বলেন ‘কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত স্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তার বিশ্বখ্যাতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি নিকেতন। সেইসঙ্গে তিনি পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার ক্ষেত্রে চিরকাল বিশ্বের জানালাকে খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবারও অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। এ ছাড়া ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর, খুলনার দক্ষিণ ডিহি ও পিঠাভোগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ছায়ানট আয়োজন করছে দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র-উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।