ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

হরিণ চোর ।। ফরিদ আহমেদ

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
হরিণ চোর ।। ফরিদ আহমেদ ছবি : সংগৃহীত

মেজাজটা একেবারেই বিগড়ে গেছে স্যার টমাস লুসির । তাঁর মতো শক্তিশালী লোকের পেটের মধ্যে থেকে তাঁরই শখের জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।

এটা হজম করা যায় না। মেজাজ বিগড়ানোটাই স্বাভাবিক ঘটনা, না বিগড়ালেই মনে হতো যে কী যেনো ঠিকমতো চলছে না।

চার্লকোট নামে একটা তালুকের জমিদার তিনি। লুসি সাহেবের জমিদারি বিশাল সাইজের। এখানে যেমন আছে বন, তেমনি আছে গ্রাম। বনে দিকে দিকে হরিণ ঘোরে। সব স্যার টমাসের সম্পত্তি। গ্রামে দরিদ্র মানুষ থাকে। এদের অধিকার নেই স্যার টমাসের সম্পত্তিতে হাত দেবার। তারপরেও হাত দেয় তারা। গরীব লোক হলে যা হয় আর কী। স্যার টমাসের ধারণা সবগুলো চোর ছ্যাচ্চড় ধরনের। সুযোগ পেলেই তাঁর ধন-সম্পদ চুরির করে নিয়ে যায়। এরা যাতে স্যার টমাসের হরিণ শিকার করে খেয়ে না ফেলতে পারে, সে জন্য পাহারা দেবার অসংখ্য লোক রাখা হয়েছে। করা হয়েছে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা। এতো কিছুর পরেও হরিণ চুরি যায়। ঠেকানো যায় না কিছুতেই।

দেওয়ানকে ডেকে আচ্ছা মতো এক ধমক দিলেন তিনি। খেই খেই করে উঠে বললেন, "ঘটনাটা কী বলো তো দেখি? প্রতিদিন আমার সাধের হরিণ চুরি যাচ্ছে। তোমরা কিছু করতে পারো না। এভাবে চললে তো বনে আর হরিণ থাকবে না কয় দিন পর। খালি বাঁদর থাকবে। খামোখাই বেতন দিয়ে পুষি তোমাদের। হয় চুরি বন্ধ করো, নইলে বিদায় হও তোমরা। অপদার্থ সব কর্মচারী দিয়ে আমার চলবে না। "

দেওয়ান মাথা চুলকে বললো, "চারিদিকেই আমি পাহারা বসিয়েছি হুজুর। কাল রাতে তো চোর প্রায় ধরেই ফেলেছিলো সেপাইরা। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে চোর। "

"অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। ওসব মামদোবাজি কথা আমাকে শুনিও না। " স্যার টমাস রাগে গজ গজ করতে করতে বলেন। "আগে চোর ধরে তারপরে আমাকে এগুলো শুনিও। "

স্যার টমাসের রাগে বহর দেখে আরো কুচকে যায় দেওয়ান। "তোমার কী কারো প্রতি সন্দেহ হয়?" স্যার টমাস জিজ্ঞেস করেন। "গ্রামের ওই ছোটলোকগুলোর মধ্যে থেকেই কেউ না কেউ করছে, আমি নিশ্চিত। "

"ওদের মধ্যে কেউ করছে সেটা আমিও জানি হুজুর। গ্রামে গিয়েছিলাম। কিছু ছোকরা দেখলাম আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। " অস্বস্তিতে কাশি দেয় দেওয়ান। তারপরে বলে, "ওদের মধ্য থেকেই কেউ করছে বলে আমার বিশ্বাস। "

"একবার যদি ধরতে পারি, ব্যাটাদের হাসাহাসি বন্ধ করে দেবো আমি। " এক হাত দিয়ে আরেক হাতে তালুতে কিল মেরে স্যার টমাস বলেন।

ঠিক এসময়ই বাইরে থেকে হইচইয়ের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। হুড়মুড় করে এক সেপাই ঢুকে পড়ে সালাম দেয়। তারপর উত্তেজিত গলায় বলে, "হুজুর, হরিণ চোর ধরা পড়েছে। "

আনন্দে চিৎকার করে উঠেন স্যর টমাস। "কোথায় সেই বদমায়েশ?"
"কাছারি ঘরে আটকে রেখেছি হুজুর। "
"কে এ? তুমি তাকে চেনো?"

"না, হুজুর, আমি চিনি না। কিন্তু, অন্যেরা চিনেছে। গ্রামেরই ছেলে। মহা বখাটে ছোকরা। এর রেকর্ড খারাপ। এর আগেই এই রকম চুরি চোট্টামি করেছে। আজকে অবশ্য পালিয়ে যাচ্ছিলো। যেতো ও হয়তো। বেশি লোভ করে হরিণটা কাঁধ থেকে ফেলে নি বলে ধরে ফেলতে পেরেছি। "

বিকট আনন্দে চোখ জ্বজ্বল করে ওঠে স্যার টমাসের। "এক্ষুণি, আমার সামনে নিয়ে এসো হারামজাদাকে। আজ জন্মের মতো শিক্ষা দেবো ওকে আমি। এই শিক্ষা দেখে আর কোনো চোরের বাবারও সাহস হবে না আমার হরিণ চুরি করার।

স্যার টমাস শুধু জমিদারই নন। তিনি পার্লামেন্টের সদস্য, আদালতের বিচারক। বিচারকের জমকালো পোশাক পরে তিনি হলঘরে গিয়ে ঢুকলেন। চোরের মনে ভয় আর শ্রদ্ধা ঢোকানই মূল উদ্দেশ্য। হলঘরে বসেই তিনি জমিদারি চালান, প্রজাদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন, খাজনা আদায় করেন। চোর ধরা পড়েছে শুনে তাঁর প্রাসাদের সব লোক এসে জড়ো হয়েছে হলরুমে। দুই জন পাহারাদার টেনে হিচড়ে নিয়ে এসেছে চোরকে। বছর কুড়ি বয়সের এক নবীন তরুণ। মাথায় ঢেউ খেলানো চুল, ডাগর ডাগর চোখ। মুখে কচি গোঁফ দাঁড়ির রেখা। অত্যন্ত সুপুরুষ এক ছেলে। হরিণ চোর হিসাবে কিছুতেই মনে হয় না।

কিন্তু, সে যে হরিণ চোর। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পিছনেই এক সেপাহি মোটাসোটা এক হরিণের মৃতদেহ নিয়ে আসছে। অন্য একজনের হাতে ধনুক আর তীর। এই তীর-ধনুক দিয়ে মারা হয়েছে হরিণটাকে। বিশাল চেয়ারে বসে স্যার টমাস বজ্রনাদে বললেন, "এদিকে এসো ছোকরা। কী নাম তোমার?"

সবকিছু দেখে ঘাবড়ে গেছে ছেলেটা। চেহারায় ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। অস্পষ্ট স্বরে নাম বলে তার। নাম শুনে স্যার টমাসের কোন ভাবান্তর হয় না। নাম জিজ্ঞেস করতে হয়, তাই করেছেন। এই সব ছোটজাতের লোকের নাম জানাটা তাঁর কাছে অপ্রয়োজনীয়।

দুই চোখ পাকিয়ে গর্জে ঊঠেন তিনি, "এতো বড় সাহস তোর ছোকরা। আমার হরিণ চুরি করিস। আজ তোকে এমন শাস্তি দেবো যে, শুধু তুই না, আর কেউ-ই আমার হরিণ চুরি করার সাহস পাবে না। "

স্যার টমাসের গর্জন শুনে ঘাবড়ে গেছে ছেলেটা। পরিষ্কার আতংক ডাগর দুই চোখে। "যে জরিমানা হয় বলে দেন হুজুর, আমি দিয়ে দেবো। " তোতলাতে তোতলাতে বলে ছেলেটা।

"হাহ, জরিমানা! জরিমানা দিয়ে দিবি! তুইতো একটা পথের ফকির। ফকির না, ছোর ছ্যাচড়া। জরিমানার টাকা দিবি কোথা থেকে? না, তোকে জরিমান করবো না। বললাম না যে, কঠিন শাস্তি দেবো। জরিমানা কোনো কঠিন শাস্তি না। "

"তাহলে কি আমাকে জেলে দেবেন?" ভয়ে ভয়ে ছেলেটা বলে।
"না, তোকে জেলেও দেবো না। ' ক্রুর হাসি হাসেন তিনি। "তোর পিঠে ত্রিশবার বেত্রাঘাত করা হবে। "

বেত মারার কথা শুনে মুখের সব রক্ত সরে যায় ছেলেটার। এর থেকে অপমানের শাস্তি আর হয় না। আর্তস্বরে বলে, "দোহাই আপনার। আমাকে জরিমান করুন, কিংবা জেলে দিন। দয়া করে বেত মারার শাস্তি আমাকে দেবেন না হুজুর। "

গলা ফাটিয়ে হাসেন তিনি। সবার দিকে তাকিয়ে রসিকতা করে বলেন, "দেখো, চোর ব্যাটার আবদার দেখো। । যেনো মামা বাড়ি পেয়েছে। হরিণ চুরির সময় মনে ছিলো না, এখন বেত খাবার কথা ভেবে মান-সম্মান চাগিয়ে উঠেছে। "

"এই একে নিয়ে গিয়ে আচ্ছা করে ত্রিশ ঘা বেত লাগিয়ে দে এর পিঠে। " কঠিন গলায় হুকুম করেন তিনি।

টানতে টানতে ছেলেটাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইরে। হাত পা ছুড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে সে। কিন্তু এতো গুলো ষণ্ডা-মার্কা লোকদ্দের সাথে পারবে কী করে? বাইরে নিয়ে গিয়ে খুঁটির সাথে বাঁধা হয় তার দুই হাত। তারপর সপাসপ করে ত্রিশ ঘা বেত মারা হয় দয়ামায়াহীনভাবে।

*************

রক্তাক্ত দেহে মাথা নিচু করে বাড়ি ফিরে আসে ছেলেটা। পিঠে চাবুকের ব্যথায় যতটা না কষ্ট হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে মনে। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে মন। স্যার টমাসকে ধূলার সাথে মিশিয়ে দেবার জন্য সারাটা মন ছটফট করছে। কিন্তু কীই-বা করতে পারে সে। সহায় সম্বলহীন একজন মানুষ সে। মহাধনী, মহা পরাক্রমশালী জমিদার স্যার টমাসের সাথে টক্কর দেবার সামর্থ তো তার নেই। একমাত্র পারে, আবারও বনে ঢুকে হরিণ চুরি করা। কিন্তু পাহারা অনেক বেড়ে গেছে। আজকের পরে সেপাইরাও অনেক বেশি সতর্ক থাকবে। ওটাও করা যাবে না। ধরা পড়লে আজকের চেয়েও বেশি শাস্তি হবে। অপমানের আর শেষ থাকবে না। ধরা না পড়লেও লাভ নেই। সেপাইরা পরে এসে ঠিকই তাকেই ধরবে। দাগা পড়ে গেছে তার গায়ে। বিছানায় ছটফট করতে থাকে সে। ঘুম আসছে না কিছুতেই। যেভাবেই হোক প্রতিশোধ নিতেই হবে এই অপমানের। স্যার টমাসকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, গরীবরাও মানুষ। তাদেরও মান-অপমানবোধ আছে। ঘরের জানালা দিয়ে দূর আকাশের দিকে তাকায় সে। তারাটা একা একা জ্বলছে। ঠিক সেই মুহুর্তেই বিদ্যুৎ ঝলকের মতো বুদ্ধিটা এলো মাথায়। ছোটবেলায় স্কুলে থাকার সময়ে এই কাজ করেছিলো তারা। দুষ্টু এক মাস্টার ছিলো তাদের। বিনা কারণেই তাদেরকে পিটাতেন তিনি। তাঁর অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে শেষে ছাত্ররা একদিন গোপন মিটিং এ বসে। সেখানেই এক উর্বর মস্তিষ্কের ছেলে প্রস্তাব দেয় যে, মাস্টারকে যেহেতু ঠেঙানি দেওয়া যাবে না। সেহেতু, তার নামে কবিতা লিখতে হবে। কবিতা লিখে অস্থির করে ফেলতে হবে তাঁকে। সম্মিলিতভাবে সেই কাজটা করেছিলো তারা। শেষ পর্যন্ত মাস্টার ভেগে গিয়েছিলো ওই সব কবিতার অকল্পনীয় অত্যাচারে।

মুশকিল হচ্ছে যে, সে জীবনেও কোনো দিন কবিতা লেখে নি। কবিতা লেখার জন্য কাউকে ধার করবে, সেরকমও কেউ গ্রামে আছে বলে মনে পড়ছে না তার। আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসে সে। আলো জ্বালিয়ে কাগজ আর কলম টেনে নেয়। দেখাই যাক না, নিজে নিজেই পারা যায় কিনা। তার যেমন অপমান হয়েছে, এরকম অনুভূতি তো আর কারো হবে না।

কবিতা লিখতে গিয়ে অদ্ভুত জিনিস আবিষ্কার করে সে। যে কবিতা লেখাটাকে মনে হচ্ছিলো বেশ কঠিন কাজ, সেটা খুব সহজেই তার কলমে এসে যাচ্ছে। স্যার টমাসকে নিয়ে লিখতে থাকে সে,

পার্লামেন্টের সভ্য সে যে,
আদালতের জজ সে হাঁদা
ঘরের ভেতর জুজুবুড়ো,
বাইরে তাকে দেখায় গাধা।
কান ধরে তার নিয়ে গিয়ে
গাধীর সঙ্গে দাও গো বিয়ে।

নিজেই নিজের কবিতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় সে। বাহ! খাসা হয়েছে। টমাস ব্যাটা ভালই জ্বলবে। সকাল না হতেই সে কবিতাটা নিয়ে ছুটে গেলো তার বন্ধুদের কাছে। কবিতাটা তার বন্ধুরাও দারুন পছন্দ করলো। কয়েকজন তো মুখস্তই করে ফেললো। এদের মধ্যে একজন ছিলো আবার গাইয়ে। সে চটজলদি এতে সুর বসিয়ে দিলো। তারপর গ্রামের একেবারে কেন্দ্রস্থলে বসে গেলো স্যার টমাসকে নিয়ে গানের আসর। গ্রামের কেউ-ই স্যার টমাসকে পছন্দ করতো না। সবাই-ই একবার না একবার ঢু মেরে গেলো কী হচ্ছে দেখার জন্য। কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামের সব লোক এই গানের ভক্ত হয়ে গেলো। যার গলায় একটু সুর আছে, সে-ই গাইছে। যার গলায় সুর নেই, সে উচ্চস্বরে এটা আবৃত্তি করছে। তার কবিতা নিয়ে গ্রামের লোকের এই উছ্বাস দেখে অপমানের জ্বালা অনেকখানি কমলো ছেলেটার। কিন্তু, এতেও মনের সাধ পুরোপুরি মিটলো না। তারা গাইছে, ফূর্তি করছে, কিন্তু স্যার টমাস তো জানতে পারছে না কী হচ্ছে। তিনি না জানলে তো প্রতিশোধের কোনো আনন্দ নেই। কাজেই, একদিন রাতে চুপি চুপি গিয়ে সে কবিতাটা লটকে দিয়ে এলো জমিদারবাড়ির ফটকের গায়ে।

সকালবেলা স্যার টমাসের এক চাকরের চোখে পড়লো কাগজখানা। সে বেচারা লেখাপড়া জানে না। ভেবেছে যে দরকারি কোনো কাগজ হবে। নিয়ে গিয়েছে স্যার টমাসের কাছে। স্যার টমাস তখন নাস্তা করতে বসেছেন স্ত্রী আর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। চাকর বলে যে, "হুজুর, এই কাগজটা ফটকে লটকানো ছিলো। দেখেন তো জরুরি কিছু কিনা?"

স্যার টমাস কাগজখানা হাতে নিয়ে কবিতাটা পড়ে রাগে অগ্নিশর্মা। দুমড়েমুচড়ে কাগজটাকে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি মেঝেতে। চাকরটা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো। খেকিয়ে উঠেন তিনি, " আমার সামনে থেকে দূর হ পাজি কোথাকার। চাবকে তোর পিঠের চামড়া তুলে নেবো আমি। " চাকর বেচারা পালিয়ে বাঁচে।

খাবার টেবিল থেকে উঠে দ্রুতগতিতে পায়চারি করতে থাকেন তিনি। সারা চোখমুখ লাল হয়ে গেছে রাগে। হঠাত করেই থামেন তিনি। কে এই কবিতাটা লিখেছে বুঝতে একটু অসুবিধা হয় না তাঁর। চিৎকার চেচামেচি শুনে এর মধ্যেই দেওয়ান এসে হাজির হয়েছে। তার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, "এই কাজটা ওই পাজি নচ্ছার চোর ছোঁড়াটা ছাড়া আর কেউ করে নি। ওর দুই কান কেটে নেবো আমি, তারপর তা ঝুলিয়ে দেবো বাঁশের মাথায়।

চোরের কান অবশ্য কেটে নিতে পারেন নি স্যার টমাস লুসি। কিন্তু, নিত্যদিন অত্যাচার করে তাকে গ্রাম ছাড়া করে ফেলেন তিনি।
**********

তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। স্যার টমাস মারা গেছেন। সেই তরুণ হরিণ চোর একদিন ফিরে এসেছে নিজের গ্রামে। এখন আর সে তরুণ নেই, পরিণত বয়সের একজন মানুষ। এখন আর অত্যাচার করার জন্য স্যার টমাস নেই। থাকলেও খুব একটা লাভ হতো না। স্যার টমাসের অত্যাচারকে ব্যর্থ করে দেবার সামর্থ এখন তার আছে। একদিন তরুণের যে নামটা স্যার টমাস অবহেলায় শুনেও শোনেন নি, সেই নামেই এখন তাকে দেশসুদ্ধ লোকে চেনে।

কবি এবং নাট্যকার উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের নাম জানে না, এমন লোক আছে নাকি গোটা ইংল্যান্ডে?

গল্পকার: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব শিক্ষক। বর্তমানে টরন্টোতে বসবাসরত।

বাংলাদেশ সময় ১০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।