সন্দেহছন্দ
সন্দেহ করিতেছি, তাই আছি
সন্দেহ করিতেছো, তাই আছো
মনেরে সন্দেহ করিতেছে দেহ
দেহের ভাস্কর্য আহা! মূঢ়মতি
প্রয়োজনীয় সন্দেহে বাঁচে
ভগবতীদের মহান নিয়তি!
সামনে রাখিয়া বিষধর সাপ
খালি হাতে খেলা! পাপ
তাই সন্দেহছন্দে হাত ভরে যাক
মম অস্তিত্ব মোদের প্রকাশিত থাক!
অবনত মুখের সকাল
ভোর নয়, সন্ধ্যাও না
অথচ কুয়াশাকালি চারিদিকে
আমরা ফিরছি বাড়ি
মাথায় গতকালের নেশা
আগামীকালের প্লান—
আমরা বাড়ি ফিরছি
আমাদের কোলে তুলতুলে শাদা
খরগোশ, বুকের ভেতরে ও শিরায়
ধাবমান কালচে লাল—
যে যার নিজের বিশ্বাসের
গম্বুজে ছাওয়া ঘরবাড়ি নিয়ে
আমরা বাড়ি ফিরছি
হঠাৎ পথ ফেটে চৌচির
দশদিক ভরা ঘনবনে
যে যেদিকে ফিরে তাকাই
ঘাড়ের ওপরে নখদাঁতময়
শ্বাপদের নিঃশ্বাস, লালাক্ষার—
পথ নেই কোনও আর
নিজেদের কামনার
কবর অগ্রাহ্য করে ভাবছি
মাতৃটান আত্মার শিকড়
যতই শুকিয়ে যাক
আর বাড়ি ফেরা হবে না।
যেখান থেকে গমনাগমের
কোনও পথ নেই, নেই পথের
নিশানা এবং শব্দ ও স্বর
তার নাম কেবল কবর
হতে পারে—
কবরে দাঁড়িয়ে আমরা ভাবছি
সময় ও আলোকবর্তিকা
বিষয়ক একটি কবিতা—
আচমকা হঠাৎ
ফিসফিস হাওয়ায়
পাতার মর্মর ভেসে এলো
আমরা কান পাতলাম—
তৈরি হলো পথ, হাঁটতে হাঁটতে ভোর,
উঁকি দিচ্ছে সূর্য; লাল—
আমাদের দুঃস্বপ্ন থেকে জন্ম নিল
নির্বিকার এক অবনত মুখের সকাল।
ফুরফুরা বাতাস
(ফুরফুরা বাতাসে শুধু চনমনে আনন্দ মাখা থাকে)
তোমার ব্যস্তসমস্ত ব্লাডি, বিরক্তি-আঁকা,
সেইম বোরিং টয়-মার্কা, পুনারাবৃত্তিময়
অফিস, বাসা, ঘুম ও হাসা
নাগরিক দিনযাপনের ভিতর
হঠাৎ হঠাৎ আসে একলালাগার প্রহর
যখন আসে, তখন
জীবন-ফাঁক-ফোকড়ের উদাস জানলা দিয়ে ঢোকা
একটা ফুরফুরা বাতাসের মত
তোমার জীবনে থাকতে চাই আমি
আলতো আলতো করে
ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে
না করে শেয়ার
সেইম স্নানাগার
আলনা ও খাট
ড্রয়িং ডাইনিং টেবিল, ভাত
তরকারি বিষয়ক তর্ক,
যৌনবিষয়ক ঝগড়া,
না করে শেয়ার রাত,
না করে শেয়ার ঝঞ্ঝাট
দুইজনের কাছে দুই ফুরফুরা বাতাসের মত
ওগো ভোমরা, থাকতে চাই কি আমরা?
আহা! একটা ফুরফুরা বাতাসের মত থাকাথাকি
মনে করায়া দেয় একটা
হুড়মুড়ায়া ঢোকা ফুরফুরা বাতাস!
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫।