ঢাকা: মঞ্চ থেকে ভেসে আসা ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছেন শত শত শ্রোতা। কবিতার শব্দে, ছন্দে তারা কখনো অতীত স্মৃতিতে হারিয়ে যাচ্ছেন, কখনও প্রেম-বিরহে কষ্টের সমুদ্রে ভাসছেন, আবার কখনও দ্রোহ, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হচ্ছেন।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে বিজয়ের মাসে ৬ষ্ঠ বারের মতো ৭১টি কবিতা আবৃত্তি করলেন জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
‘বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি’র আয়োজনে ‘আপোস করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস’ শিরোনামে এ কবিতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারের মতো মাথায় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বেঁধে বিকেলে সাড়ে ৪টায় মাইক্রোফোনের সামনে আসেন শিমুল মুস্তাফা। তারপর ছড়াতে থাকেন তার কণ্ঠের যাদু। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে আবৃত্তি। মুক্তিযুদ্ধ, দ্রোহ, প্রেমসহ বিভিন্ন বিষয়ের কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি।
২৫টি কবিতা আবৃত্তির পর ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’ গানটির সঙ্গে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। এরপর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯৭১টি মোমবাতি জ্বালানো হয় এবং ৭১টি ফানুস ওড়ানো হয়।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠানে বিকেল থেকে কবিতাপ্রেমীদের ভিড়ে পুরো রবীন্দ্র সরোবর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীসহ বিশিষ্টজনরা আবৃত্তি উপভোগ করেন।
কক্সবাজার থেকে আসা শিমুল মুস্তাফার এক ভক্ত বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকি ২৫ ডিসেম্বরের জন্যে। এখানে এলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে।
আর শিমুল মুস্তাফা বলেন, কবিতার মাধ্যমে মানুষের অব্যক্ত ইচ্ছা, ভালোবাসা, কল্পনা প্রকাশ পায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এ প্রজন্মের তরুণদের উদ্দেশ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলো- জনতা ব্যাংক এবং পৃষ্ঠপোষকতায়- এএনএইচ এন্টারপ্রাইজ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এমইউএম/আরএম