মীরা-কাব্য
ভালোবাসায় ডুব দিলাম কর্ণফুলীর জলে
সকাল-বিকেল পথ চাইলাম বট বুড়িটার তলে
সাত সত্তুর মই দে’ গেল আমার পাকা ধানে
ঘর আঙ্গিনা ফেলে ছুটে গেলাম তোমার টানে
যখন আমার সাধের ঘরে সিঁদ কাটল চোরে
তখন আমি মাতার বেচাল তোমার নেশার ঘোরে
নাদুশ নুদুশ কুষ্ট কেমন সবার গাছের ফল
আমি কেবল ঢেলেই গেলাম বাবলা গাছে জল
সব ছুঁড়িরা ব্যস্ত যখন গীতা রামায়ণে
আমি তোমার স্বপ্নে বিভোর, ব্যস্ত আলাপনে
পুন্নি পুকুর কচ্ছে সবাই বোশেখ মাসের বেলা
আমি কুড়োই তীরে বসে তোমার স্মৃতির ঢেলা।
বিদায়
গেলেই যদি যাওয়া হতো
তাহলে পৃথিবীর মুখ ভরে উঠত না দুঃখের অসংখ্য ব্রণে
আরশোলা রঙের হতো না কোনো ভোর
পাংশুটে হতো না সব সন্ধ্যা সব রাত্রি
যে যায় সে বুনে যার নষ্টের বীজ
দশ দিগন্তে গজায় কষ্টের আগাছা
পাড় ভাঙ্গে সতী নদীর ভেঙ্গে চুরমার সমস্ত সাঁকো
যাবেই যদি তো নোঙর ফেলা কেন
কেন আকাশ ডিঙানো স্বপ্ন দেখানো
তৃষ্ণা কাতর চাঁড়ালকে কেনই বা বৃষ্টির গন্ধ শুঁকাবার প্রতিশ্রুতি?
যেতে হলে যাও সমূলে
পাততাড়ি গুটিয়ে টিকেট কাটো সন্ধার ট্রেনের
ঘুলিয়েছো অনেক জল-বড়শী দিয়ে খেলিয়েছো বহু মাছ
কেটেছো দুঃখের আঁচড় জীবনের ক্যানভাসে
রক্তে এনেছো ভাঁটা, বৃক্ষে বার্ধক্য
বাতাসে মুঠোভরে ছড়িয়েছো ছন্নছাড়া প্রগলভতা
কিছুক্ষণ বাদেই সূর্য নিরুদ্দেশ হবে
ওই লাল পাহাড়ের পেছনটায়
যাও, তার সাথেই ডুবে মরো
হাড় জ্বালাতে আর এসো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৫।