ঢাকা: ভ্রমণ গদ্যলেখক ও পরিব্রাজক হিসেবে মাহমুদ হাফিজ পেলেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের স্বর্ণ পদক সম্মাননা।
শনিবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রামের কারিতাস মিলনায়তনে আয়োজিত সাহিত্য ও কবি সম্মেলনে তাকে এ পদক দেওয়া হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী। স্বাগত ভাষণ দেন সাহিত্য ও কবি সম্মেলনের আয়োজক চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ দীন।
অতিথি হিসেবে যোগ দেন ভারতের কবি ও লেখক হরেন্দ্র্রনাথ চক্রবর্তী, সমরেন্দ্র দাশ গুপ্ত, সুশান্ত নন্দী, নৃত্যশিল্পী জনার্ধন সরকার, ড. অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ, দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, জাহেদ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান নিজামী, দীপালী ভট্টাচার্য, কথাশিল্পী আফররোজা পারভীন, আরিফ চৌধুরী, শিবলী সাদিক কপিল, মেহেরুন নেসা রশিদ, আবদুল্লাহ মজুমদার, স ম জিয়াউর রহমান, ইমরান সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কাব্য ও সাহিত্য মানব সভ্যতার এক ইতিবাচক বিষয়। প্রযুক্তির সুবাদে পৃথিবী আজ বহুদূর এগিয়ে গেলেও বিশ্ব মানবতার মুক্তি, স্বপ্ন-সম্ভাবনার হাতছানি রয়েছে কেবলমাত্র সাহিত্যেই। অন্য সব বিদ্যা একবার পড়লেই চলে…কিন্তু আত্মজিজ্ঞাসার জবাব সাহিত্য-সংস্কৃতিতে আছে বলে তা বারবার পড়তে হয়, বারবার শুনতে হয়।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কবি-লেখকরা বলেন, রাজনৈতিক কারণে দুইদেশ বিভক্ত হলেও ভূগোল বাঙালির মনকে বিভক্ত করতে পারেনি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা কী ভারত কী বাংলাদেশ সর্বত্রই এক।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামের নবীন-লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে উপস্থিত হন, প্রাবন্ধিক এস এম ওসমান, মহিউদ্দিন চৌধুরী ইছা, হেকিম চৌধুরী সিহাবুদ্দিন, গবেষক হারুনর রশীদ, কাজী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ইউনুচ কুতুবী, কবি সজল দাশ, সংগীত শিল্পী এস.এম জামাল উদ্দিন, নজরুল সংগীত শিল্পী হারুনর রশীদ, নওশেদা বিনতে দিবা, শিউলি আকতার, মুহ্ম্মাদ শাওন, মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক দিদারুল আলম প্রমুখ।
মাহমুদ হাফিজ পেশাগত দিক থেকে সিনিয়র সাংবাদিক। ভ্রমণ ও ভ্রমণগদ্য রচনা তার ধ্যানজ্ঞান। বিশ্বের সব মহাদেশের প্রধান প্রধান নগরী, ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান তিনি ভ্রমণ করেছেন। লিখেছেন এন্তার ভ্রমণগদ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ওপর তার ধারবাহিক ভ্রমণগদ্য ‘ভ্রমণামৃত’ বাংলানিউজে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
আইএ