ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ব্যাঙ্গালোরে কল্পতরুর ৩ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
ব্যাঙ্গালোরে কল্পতরুর ৩ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা

ব্যঙ্গালোরে সদ্য অনুষ্ঠিত (০৩ সেপ্টেম্বর) শান্তালা নৃত্য বৈভব নৃত্যাবলীর সেপ্টেম্বর মাসের উপস্থাপনায় নৃত্য পরিবেশন করেছেন সাধনার সহোদরা সংগঠন কল্পতরুর তিন নৃত্যশিল্পী। অনুষ্ঠানে ব্যঙ্গালোরের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী কির্তী রামগোপালের নির্দেশনায় কল্পতরুর নৃত্য গুরু অমিত চৌধুরি এবং তার দুই ছাত্রী শাম্মী আক্তার ও জুয়েইরিয়াহ মৌলী ঘণ্টাব্যাপী নৃত্য পরিবেশন করেন।

নৃত্যশিল্পী কির্তী রামগোপালের ভাষ্যে, অমিত চৌধুরি, শাম্মী আক্তার ও জুয়াইরিয়াহ্ মৌলী ৩০তম শান্তালা নৃত্য বৈভবে সদ্য নৃত্য পরিবেশন করেছেন। নাচ যে সহজেই ভাষা আর ভৌগোলিক সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হয়, তা এই নৃত্যশিল্পীদের নান্দনিক পরিবেশনায় অনুভূত হয়েছে। প্রারম্ভিক ঐতিহ্যগত পুষ্পাঞ্জলি থেকেই তিনজন শিল্পীর একক, দ্বৈত ও ত্রয়ী নৃত্যবিন্যাসের ভঙ্গি ও অভিনয় এক বিচিত্রদৃকপাত সৃষ্টি করে শিল্পরসিক দর্শকদের হৃষ্ট করে।

‘শিল্পীদের পরিচ্ছন্ন দেহ আঙ্গিক এবং আন্তরিক আরামান্ডি (ভরতনাট্যমের মৌলিক ভঙ্গিমা) দক্ষিণভারতীয় না হয়েও গীতিকাব্যের সুস্পষ্ট বোধ, সবটাই মিলিতভাবে একটি মনোহর পরিবেশনা সৃষ্টি করে। শাম্মী আক্তার ও জুয়াইরিয়াহ্ মৌলী জগদ্ধাত্রী অম্বার লাবণ্যময় এবং সম্ভ্রমশালী রূপায়ন দ্বারা দর্শককে প্রভাবিত করেন। তাদের উপস্থাপনায় নটরাজ শিবের নৃত্যাঙ্কনের মাধ্যমে শিল্পীদ্বয়ের দৃঢ় ভঙ্গিতালিকা ফুটে ওঠে। অন্যদিকে, নৃত্যশিল্পী অমিত চৌধুরি তার সুক্ষিপ্র চলনের মাধ্যমে নটরাজ শিবের প্রতিকৃতি তুলে ধরে দর্শককে প্রভাবিত করতে সক্ষম হন এবং সুদীর্ঘ বর্ণমে তাকে বিষ্ণুর আন্তরিক ভক্ত বলেই মনে হয়েছে। অমিতের ‘গজেন্দ্র মুক্তি’ এবং ‘বামনাবতার’ এর আখ্যান উপস্থাপনা ছিলো আবেগময়। সম্পূর্ণ মার্গম পরিবেশনায়, প্রারম্ভিক নাচ থেকে শেষ উপস্থাপনা অবধি, শিল্পীত্রয়ের সক্রিয়তা ছিলো সত্যিকার অর্থে প্রশংসনীয়। উৎসাহ ও পোষণ এই নবীন নৃত্যশিল্পীদের যথার্থ প্রাপ্য, যাতে তাদের শিল্প এবং উপস্থাপনা ক্রমে আরও উন্নত হতে পারে। ’

অনুষ্ঠানের সংগঠক পুলেকেশি কস্তুরির মতে, কল্পতরুর নৃত্যশিল্পীরা একটি সুপরিচ্ছন্ন এবং স্থির নৃত্যানুষ্ঠান উপস্থাপন করেন আমাদের নৃত্যবৈভব অনুষ্ঠানে। তাল ও লয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং সুন্দর মঞ্চ উপস্থিতি প্রতিটি উপস্থাপনাকে অত্যন্ত যথাযত করে তোলে। প্রথম পুষ্পাঞ্জলি থেকে শেষ তিল্লানা অবধি তিনজন শিল্পীই নিজ নিজ ভঙ্গিতে উত্কর্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং দর্শককে বিনোদিত করেছেন। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য রইলো আমাদের সব শুভকামনা। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।