ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভক্তরাই মনে রাখবে হুমায়ূন আহমেদকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
ভক্তরাই মনে রাখবে হুমায়ূন আহমেদকে ছবি:বাংলানিউজ

‘আমার মনে হয় না, হুমায়ূন আহমেদকে মনে রাখার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তিনি যে লেখা রেখে গেছেন, তা অবশ্যই পাঠককে পড়তে হবে। যে পাঠক তার লেখা একবার হাতে নেবে, সেটা পড়া শেষ না করে হাত থেকে নামাবে না। পাঠক ও ভক্তরাই তাকে মনে রাখবে।’

গাজীপুর: ‘আমার মনে হয় না, হুমায়ূন আহমেদকে মনে রাখার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তিনি যে লেখা রেখে গেছেন, তা অবশ্যই পাঠককে পড়তে হবে।

যে পাঠক তার লেখা একবার হাতে নেবে, সেটা পড়া শেষ না করে হাত থেকে নামাবে না। পাঠক ও ভক্তরাই তাকে মনে রাখবে। ’

রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে জননন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকলে এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি নুহাশ পল্লীতে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মবার্ষিকীতে লেখকের সমাধিস্থলে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে শাওন মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, কবর জিয়ারত, দোয়া করেন এবং জন্মদিনের কেক কাটেন।

এ সময় মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে তার দুই সন্তান নিশাত-নিনিতসহ হুমায়ূন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

শাওন বলেন, এ পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের রচনা সমগ্রের অষ্টম খণ্ড বের হয়েছে। এরপর নবম ও দশম খণ্ড বের হবে। হুমায়ূন আহমেদের কাজগুলো নিয়ে মনে হয় না আমাদের কিছু করতে হবে।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ যে প্রতিষ্ঠানগুলো করেছেন, যেমন- তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠ’ নামে স্কুল আছে। কীভাবে স্কুলটি ভালোভাবে চলবে। সেটা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।

স্কুলটি ঠিক মতো পরিচালনা ও ভালো রেজাল্ট হচ্ছে জানিয়ে হুমায়ূনপত্নী অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক শাওন বলেন, স্কুলটা হুমায়ূন আহমেদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে রূপান্তিত করার ইচ্ছা ছিলো। সেই চেষ্টা আমাদের থাকবে। এছাড়া নুহাশ পল্লী ঠিক মতো পরিচালনা করার জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করছি। নুহাশ পল্লী যে রকম সবুজ ছিল, সে রকম সবুজই যেন থাকে। তার এ ছোট-ছোট চাওয়াগুলোকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।

নুহাশ পল্লী নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লীকে ঘিরে একেক বার একেক রকম পরিকল্পনা করেছেন। কোনো সময় বলেছেন, এখানে একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউট বানাবেন। আবার কোনো সময় বলেছেন, নুহাশ পল্লীর প্রকৃতি মতো সব সময় সবুজ থাকবে। কোন সময় বলেছেন, এখানে ক্যান্সার হাসপাতাল হবে। পরবর্তীতে আবার বলেছেন, প্রাকৃতিক এ পরিবেশ এটা এরকম রাখতে চাই। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভেষজ ওষুধি উদ্যান থাকবে।

‘নুহাশ পল্লীতে সবুজে ভরা ও প্রকৃতির টান থাকবে। এখানে প্রকৃতির আমেজ থাকবে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আসলে এটা কী হবে, না হবে এ নিয়ে চিন্তা করছি না। এটা যেমন আছে, তেমন যেন থাকে, পারলে যেন এর চেয়ে ভালো হয়’- যোগ করেন শাওন।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার ডাক নাম ছিল কাজল। বাবার রাখা তার প্রথম নাম শামসুর রহমান। পরে নাম পাল্টে হুমায়ূন আহমেদ রাখা হয়।

কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে তাকে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর পর লেখক হুমায়ূনের এটি পঞ্চম জন্মবার্ষিকী। এ বিশেষ দিনে হুমায়ূন ভক্তদের জন্য নুহাশ পল্লী উন্মক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ভক্তরা দিনব্যাপী প্রিয় লেখকের স্মৃতি জাগানিয়া স্থানটি ঘুরে- ঘুরে দেখছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
আরএস/টিআই

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।