ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সাহিত্য আড্ডা

'রিয়াল ইয়াং পোয়েটস'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
'রিয়াল ইয়াং পোয়েটস' 'ইংক'র সাহিত্য আড্ডা

'রিয়াল ইয়াং পোয়েটস' শিরোনামে সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরের সাহিত্য আড্ডাটি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাহিত্য সংসদ 'ইংক' উৎসর্গ করেছে ফরাসি কবি আর্তুর র্যাঁবোকে।

এ উপলক্ষে আড্ডায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চার তরুণ কবিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাদ আশরাফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজমাইন তূর হক এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনন্য সাঈদ ও মাহমুদা স্বর্ণা।

 

তরুণ কবিদের কবিতা ভাবনা ও কবিতার পেছনের গল্প নিয়ে জমে ওঠে আড্ডা। কবিতা কতোটুকু সমাজ বাস্তবতার দর্শন, পাঠকের সঙ্গে কবিতার সহৃদয়তা, লেখক পাঠকের মেলবন্ধনসহ নানাদিক উঠে আসে আলোচনায়।  

'ইংক'র সাহিত্য আড্ডা

অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যাঁবোর কবিতা পড়েন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা এবং তার জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন একই বিভাগের সুমাইয়া মাশরুফা। আর্তুর র্যাঁবো কেন তরুণদের আইকন, কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন এসব উঠে আসে সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে।  

এরপর শুরু হয় কবিদের আড্ডা। নিজের কবিতা প্রসঙ্গে অনন্য সাঈদ বলেন, কবিতা হচ্ছে আমার সুখের গেরস্থালি, নিয়তই কবিতার সঙ্গে গড়ে তুলি সংসার। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, কবিতা হচ্ছে চিন্তা বিনিময়ের সহজতম মাধ্যম। তূর ও সাদ কবিতা লেখেন ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে। মাহমুদা স্বর্ণা তার কবিতা লেখার পেছনে পরিবারের ভূমিকাকে বড় করে দেখেন।  

দর্শকসারি থেকে প্রশ্ন আর আমন্ত্রিত কবিদের কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে অনুষ্ঠান। কবিতায় শব্দের বহুমাত্রিক প্রয়োগ, কবিদের ব্যক্তিজীবন, নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে কবিতার সম্পর্ক, সাহিত্যের অন্যান্য শাখার সঙ্গে কবিতার মৌলিক পার্থক্য উঠে আসে আড্ডায়।  

কিছুটা হতাশার সুর টেনে কবিদের কেউ কেউ ঢাকা ও কলকাতাকেন্দ্রিক বলয় ভেঙে দেওয়ার দাবি তোলেন। সাহিত্যকে সর্বজনীন করার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ ও সর্বোত সাহিত্য পাঠের কথা বলা হয় আড্ডায়।  

চার কবির এ আড্ডায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কথা সাহিত্যিক উম্মে ফারহানা এবং প্রভাষক ও কবি আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদিরের সাবলীল উপস্থিতি।  

'ইংক'র সাহিত্য আড্ডা

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রায়হানা আক্তার। কবিদের উপর দেবত্ব প্রয়োগ ও কবিতার বিচ্ছিন্নতার বিপক্ষে তারা কথা বলেন। প্রায় তিনঘণ্টা দীর্ঘ এ আলোচনায় সবটুকু সময়ই ছিলো প্রাণোচ্ছল। কবিতায় নতুনদের অবস্থান, ভাষাশৈলী, সুরিয়ালিজম, ছন্দ ও গদ্য কবিতা নিয়েও চলে টুকিটাকি কথোপকথন।  

চার তরুণের অকপট আড্ডায় মুগ্ধ দর্শক ছিলো ক্লান্তিহীন। অনন্য সাঈদ, শাদ আশরাফ, মাহমুদা স্বর্ণা ও আজমাইন তূর হকের কবিতা, কবিতা নিয়ে তাদের পথচলার স্বপ্নের বাস্তব-বয়নের মধ্য দিয়ে শেষ হয় 'ইংক'র চতুর্থ আড্ডা।  

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সাহিত্য সংসদের উপদেষ্টা উম্মে ফারহানা ও মডারেটর আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির।

যোগাযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএনএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।