তিনি বলেছেন, কোনো বই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বা নীতিগতভাবে সমর্থন যোগ্য না হলে- সেই প্রকাশনা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির কোনো ভূমিকা থাকবে না।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে গ্রন্থমেলা সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কী ধরনের বই নিষিদ্ধ করা হবে বা প্রকাশ করা যাবে না, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। এ বিষয়ে কিছুই করার নেই বাংলা একাডেমির। এমনকি কী ধরনের শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বই যাচাই করবে সেটিও আমাদের এখতিয়ারে নেই।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নতুন বিন্যাসে এবারের অধিকাংশ স্টল পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আনা হয়েছে। টিএসসি ও দোয়েল চত্বরের মূল প্রবেশপথে এলইডি মনিটর থাকবে। এখান থেকে মেলা সর্ম্পকিত প্রয়োজনীয় তথ্য বা নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নতুন বইয়ের প্রদর্শনশালা করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রকাশিত নতুন বই দিনভিত্তিক সাজানো হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে হুইল চেয়ারের সংখ্যা গতবারের চেয়ে আরও বাড়বে।
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি ক্যান্টিন এবং বাংলা একাডেমি অংশে পর্যটন কর্পোরেশনের আরও একটিসহ দু’টি ক্যান্টিন চালু থাকবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে স্টলগুলোতে টিনের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। শিশু কর্নারে এবার নতুন সংযোজন হিসেবে মাতৃদুগ্ধ সেবাকেন্দ্র থাকবে। এছাড়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে থাকছে নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭/আপডেট ০৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১
এমএন/এটি/এইচএ/