শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘বাতিঘর ঢাকা’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা জানান। বাতিঘর ঢাকায় শতাধিক বিষয়ের প্রায় ১ লাখ বই রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছি। এজন্য ১৬টি জেলায় বই মেলা করে আসছি। আমরা চাই জ্ঞানের আলো বাড়াতে। তবে নিজ নিজ স্থান থেকে যদি সবাই বই পড়তে পাঠাগারে না যাই, কিংবা বই না কিনি তাহলে জ্ঞানের আলো ছড়ানো সম্ভব নয়।
‘তবে মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমছে না বরং বাড়ছে সেটা বলাই যেতে পারে’- যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বই মানুষকে উন্নত করে। নিয়ে যায় এক নতুন ভুবনে। এজন্য আমি মনে করি পাঠাগারে সবাই আসবে এবং নিজেকে জ্ঞানের আলোয় বিকশিত করবে।
এমিরেটস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বই পড়াটা মানুষের অন্তরের তাগাদা থেকে আসে। এই পাঠাগার মানুষের অন্তরের ক্ষুধা মিটাবে বলে আশা করি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, জ্ঞানের বাতি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবে আমি চাইবো রাজশাহী, রংপুর, যশোর ও খুলনায় যেন আরও বাতিঘর করা হয়। তাহলে জ্ঞানের বিস্তার বাড়বে পাশাপাশি বইয়ের দোকান বাড়াতে হবে।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থাগারের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক হরিশংকর জলদাস, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯,২০১৭
এসজে/এসএইচ