শুধু নৃত্য নয়, এ রাতে আরো আছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মহাযজ্ঞ। আবাহনী মাঠে রাতে সরোদ পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সন্ধ্যায় কুয়াশায় ভেজা আর শীতের ঘ্রাণ মেখে থাকা আবাহনী মাঠের মঞ্চে জ্বলে ওঠে আলো। করতালিতে শিল্পীদের অভিবাদন করেন নৃত্যপিয়াসী দর্শক। সে অভিবাদনের প্রত্যাশা শিল্পীরা পূরণ করেন তাদের নৃত্যায়োজনের মধ্য দিয়ে।
নৃত্যরঙে নিজেদের সাজিয়ে মঞ্চে আসেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরীন, সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা, মেহরাজ হক তুষার ও জুরাইরিয়াহ মৌলি। দর্শকদের নিবেদন করেন তাদের কাঙ্খিত নৃত্যার্ঘ্য।
দুই পর্বে ভাগ করা এ পরিবেশনাটির নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন গুরু বিপিন সিংহ, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ও শিবলী মোহাম্মদ। ভাবনা, সার্বিক নৃত্য পরিচালনা ও সমন্বয়কারী ছিলেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত পাঁচ বছর ধরে আয়োজিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব’ শিল্পী ও দর্শকের অংশগ্রহণের নিরিখে এরই মধ্যে উপমহাদেশ তথা বিশ্বের র্সবাধিক বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গ সংগীতের আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বছর উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সংস্কৃতিতাত্ত্বিক এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে।
এর আগে গত তিনদিনে আসর মাতিয়েছেন ড. এল সুব্রহ্মন্যণ, বিদূষী পদ্মা তালওয়ালকর, রাকেশ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত উলহাস কশলকর, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খাঁ, পণ্ডিত রণু মজুমদার ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোস, বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়করাম, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, কলা রামনাথ, এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মতো গুণীরা।
উৎসবের পঞ্চম ও শেষদিন শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনা করবেন বিদূষী সুজাতা মহাপাত্র, মোহন বিনা পরিবেশন করবেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, খেয়াল পরিবেশন করবেন ব্রজেশ্বর মুখার্জি, সেতার (যৌথ) পরিবেশন করবেন পণ্ডিত কুশল দাস ও কল্যাণজিত দাস, সেতার (একক) পরিবেশন করবেন পণ্ডিত কৈবল্যকুমার এবং বাঁশিতে সুর তুলবেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের এবারের আসরের নিবেদক স্কয়ার গ্রুপ। আয়োজন সর্মথন করছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মেডিকেল পার্টনার স্কয়ার হাসপাতাল। অনুষ্ঠানে সম্প্রচার সহযোগী চ্যানেল আই, মিডিয়া পার্টনার আইস বিজনেস টাইমস, আতিথেয়তা সহযোগী প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও। আয়োজন সহযোগী ইনডেক্স গ্রুপ, বেঙ্গল ডিজিটাল, বেঙ্গল বই ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়। ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় ব্লুজ কমিউনিকেশনস। উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে পারফেক্ট হারমনি, সিঙ্গাপুর।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/এএসআর