মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকালে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রবীণ এ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে নিখিল সেন’র মরদেহ অমৃত লাল মহাবিদ্যালয়ে নেওয়া হলে সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এই গুনীজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য (মন্ত্রীর পদ মর্যাদায়) আলহাজ আবুল হাসানাত, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা শেষ শ্রদ্ধা জানান।
নিখিল সেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১টা ৩ মিনিটে তিনি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
২০১৮ সালে তিনি নাটকে অবদানের জন্য একুশে পদক পান। নিখিল সেন একজন আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। তিনি একপর্যায়ে ভাষা আন্দোলনেরও যোগ দেন। তিনি পাকিস্তান আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি শিল্পকলা পদক, মুনীর চৌধুরী পদক, আলতাফ মাহামুদ পদকসহ বহু পদক ও সম্মাননা লাভ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ২ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান। তার মৃত্যুতে বহু সংগঠন, বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএস/এএটি