শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ছায়ানটের বসন্তের আয়োজনটি ছিল মূলত নৃত্য ও গানের। এ আয়োজনে নাচের মুদ্রা ও সুরের মূর্ছনায় বসন্তকে অভিবাদন জানিয়েছেন শিল্পীরা।
সন্ধ্যায় রবি ঠাকুরের ‘আজি দখিন দুয়ার খোলা’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্যের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। এরপর সঞ্চারী অধিকারী একক কণ্ঠে গেয়ে শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে’। শারবিন খন্দকার গেয়ে শোনানা রবি ঠাকুরেরই ‘আকাশ আমার ভরলো আলোয়’। কাজী নজরুল ইসলামের ‘নতুন পাতার নূপুর বাজে’ গানটি পরিবেশন করেন ‘কৌশিক সাহা’।
এরপর পরিবেশন করা হয় দ্বৈত সঙ্গীত। রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ গেয়ে শোনান সুস্মিতা দত্ত সৃষ্টি ও তাসফিয়া আহমেদ অত্রি। এরপর ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য। দর্শকদের মন ভোলানো নৃত্যের পর একক গান নিয়ে হাজির হন অর্পিতা সরকার। তিনি গেয়ে শোনান ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’, সমুদ্র শুভম ‘আছে বসন্ত ফুলবনে’, তাসনিয়া আশরাফ ‘এই মৌমাছিদের ঘরছাড়া কে করেছে রে’ গানগুলো।
‘সব দিবি কে সব দিবি পায়’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্যগীতের পরিবেশনার পর সংহীতা ঢালী খেয়ার কণ্ঠে গীত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ওরে গৃহবাসী খোল খোল দ্বার’। স্বর্ণালী রানী চন্দ ও ফাবিহা আনবার দ্বৈত কণ্ঠে গেয়ে শানান কাজী নজরুলের ‘আয় বনফুল ডাকিছে মলয়’। একক কণ্ঠে আভেরি রহমান ‘সহসা ডালপালা তোর উতলা যে’, নিশাত আঞ্জুম সাকি ‘ও মঞ্জুরী ও মঞ্জুরী’, কর্নিকা দাশগুপ্তা ‘দোল ফাগুনের দোল লেগেছে’ গানগুলো পরিবেশন করেন।
সম্মেলক কণ্ঠে অতুলপ্রসাদ সেনের ‘মোর নাচি ফুলে ফুলে’ গানটির পরিবেশনা শেষে ছিল রবি ঠাকুরের ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ গানের সঙ্গে আয়োজনের সর্বশেষ নৃত্যগীতের পরিবেশনা। জমকালো সে পরিবেশনার পরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ছায়ানটের বসন্তের এ আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এইচএমএস/জেডএস