বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম, স্থপতি নাহাস খলিল ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহম্মদ কামালুদ্দিন।
সভাপিতত্ব করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু। সঞ্চালনা করে বেঙ্গলের পরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্থপতি বশিরুল হকের উপর নির্মিত দু'টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আর পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় একলাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক ও সনদ।
শিল্পীর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধু আর্টে শিল্প আটকে থাকা উচিত না। এটা যে বুদ্ধি করে স্থাপত্যে নেওয়া হয়েছে এজন্য বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই এবং আজকের বিজেতা এর যোগ্য।
স্থপতি নাহাস খলিল এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহম্মদ কামালুদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে বর্তমানে শহীদ মিনারের রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই ডিজাইনটি করেই অমর একুশকে স্মরণ করা হয়। তবে মূল শিল্পীর ডিজাইনের যে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব সেটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ নেবেন বলেই আশা রাখি।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে স্থপতি বশিরুল হক বলেন, ৫৭ বছর পর কোনো শিল্পীকেই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া ঠিক না। কেননা ৫৭ বছর পর অ্যাওয়ার্ড দিলে তা নিতে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গিয়ে। আমি যখন শহীদ মিনার দেখি আমার মনে হয় তা বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতিফলন। আর স্থপতি হিসেবে পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত আনন্দিত এবং গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এইচএমএস/এএ