ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আজ বাইশে শ্রাবণ

‘সীমার মাঝে অসীম তুমি...’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২০
‘সীমার মাঝে অসীম তুমি...’ রবীন্দনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পঞ্জিকার পাতা ঘুরে আজ আবারও সেই দিন, বাংলা সাহিত্যের ‘রবি অস্তমিত’ হওয়ার দিন। আজ বাইশে শ্রাবণ, ৭৯ বছর আগে ঘন শ্রাবণধারার মাঝে নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

কবিগুরুর তিরোধানের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবচেয়ে প্রদীপ্ত নক্ষত্রটি খসে পড়ে। তবে দীপ্ত্য প্রজ্বলমান তার কর্ম।  অনির্বাণ শিখা হয়ে তার কর্ম জ্বলছে বাঙালির সংগ্রামে-আন্দোলনে, সাংস্কৃতিক যাপিত জীবনে।

১৮৬১ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু জমিদারীর ঐতিহ্যকে পার করে সৃজনের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় তিনি পত্তন ঘটান নতুন এক বসতি শান্তিনিকেতনের। মা সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা ব্রাহ্ম ধর্মগুরু ও জমিদার দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোল আলো করে পৃথিবীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আসেন ১২৬৮ বঙ্গাব্দে। সারা জীবনই  তার কামনা ছিল- ‘যা পেয়েছি প্রথম দিনে, তাই যেন পাই শেষে/দু'হাত দিয়ে বিশ্বরে ছুঁই শিশুর মতো হেসে। ’

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছে দিয়েছেন বিকাশের ঊর্ধ্ব চূড়ায়। ১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' রচনা করে তিনি জয় করেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যার অর্থে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দিতে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক, গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন। রাজপথে নেমে আসেন তিনি বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ত্যাগ করেন ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া 'নাইটহুড' উপাধি। এভাবে বার বার সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্মতার ঘোষণা দিয়েছেন সমাজসচেতন রবীন্দ্রনাথ।

তিনি পৃথিবীর একমাত্র গীতিকবি- যার রচিত ভিন্ন দুইটি সঙ্গীত ভিন্ন দুইটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গীত হয়। তার রচিত 'আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশে, 'জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে' ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত৷

বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জাতীয়ভাবে উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন সংগঠন ভার্চ্যুয়ালি রবীন্দ্র প্রয়াণবার্ষিকী পালন করবে।

বাংলাদেশ সময় ০০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
ডিএন/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।