ঢাকা: আবৃত্তি ধ্বনির শিল্প। ধ্বনি শব্দের খেলা।
সমাপনী আয়োজনের শুরুতেই ‘অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে’ ও ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে’ কবিতার সম্মেলক কণ্ঠে বাচিকশিল্পী আহকামউল্লাহর সঙ্গে কোলাজ পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পীরা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাপনী আয়োজন। এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন নসরুল হামিদ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদ। পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা।
আয়োজনে বক্তারা বলেন, আবৃত্তিশিল্পীদের যুথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল হিসেবে আবৃত্তি বর্তমানে শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষদের উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সেই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আবৃত্তিশিল্পের জন্য এটা এক গর্বের অর্জন। এ পথে যারা হাঁটছে আমরা তাদের সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করেছি।
এ সময় তারা বলেন, আবৃত্তিশিল্পীদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০১১ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আবৃত্তি বিভাগ যুক্ত করে। এবার ২০২০ ও ২০২১ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবৃত্তি পদক’ দিচ্ছি। এখন থেকে প্রতিবছর আমরা আবৃত্তিশিল্পীরদের সম্মানিত করবো।
সমাপনী আয়োজনে আবৃত্তিশিল্পীদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি নসরুল হামিদ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদকে দেওয়া হয় ‘উৎসব স্মারক’। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ৫০ গুণী শিল্পী।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সকালে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত থেকে পাঁচ দিনের এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এইচএমএস/আরবি