অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন স্বাক্ষরিত এক
বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অত্যাচারে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জীবন বাঁচাতে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েও বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে মানবিকতার যে উদারহণ সৃষ্টি করেছেন তা অনন্য, অসাধারণ।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ, প্রয়োজনে ৬/৭ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশে আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর। বিশ্বের বড় বড় শক্তিগুলো এই অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে মিয়ানমারের সরকারকে বিরত করতে পারেনি। আর তারই ফলশ্রুতিতে ১০ দিনের মধ্যে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার এবং সমাধানও করতে হবে তাদের। কিন্তু নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন তিনি শুধু বাংলাদেশের জনগণের নেত্রীই নন, বিশ্বের নিপীড়িত জনগণেরও নেত্রী।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের সব বিবেকবান মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, এ সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ ও বিশ্বের সব রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা দেয়ারও জোর দাবি জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরএ