ঢাকা: কানাডার টরন্টোতে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনস এমিরেটস। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে দুবাই-টরন্টো রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।
এদিকে ঢাকা থেকে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এমিরেটস।
শনিবার (৮ এপ্রিল) এমিরেটসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএই এবং কানাডার মধ্যে সম্পাদিত উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তির ফলে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ পেল এমিরেটস। বাংলাদেশ, ভারত, ইউএই, পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব এবং শ্রীলঙ্কার থেকে টরন্টো ভ্রমণের বিপুল চাহিদা রয়েছে। তেমনিভাবে টরন্টো থেকে এসব দেশে ভ্রমণকারীদের সংখ্যাও বিশাল। দুবাই-টরন্টো রুটে এমিরেটসের প্রতিটি ফ্লাইটই সম্পূর্ণ বুকড থাকে।
এমিরেটসের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আদনান কাজিম বলেন, আমরা ২০০৭ সাল থেকে টরন্টো এবং দুবাইয়ের মধ্যে গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে আসছি। অবসর এবং করপোরেট ভ্রমণকারী, প্রবাসী এবং ছাত্রদের আরও বেশি ভালো পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক জুড়ে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো।
২০০৭ সালে টরন্টোতে ফ্লাইট শুরু করে এমিরেটস। ২০০৯ সাল থেকে দুবাই-টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হচ্ছে বিশালকার দ্বিতল এয়ারবাস এ-৩৮০। এ উড়োজাহাজের প্রতি ফ্লাইটে ৪৯১ জন যাত্রী পরিবহন করছেন। নতুন দুটি ফ্লাইট চালু হলে এ রুটে এমিরেটসের পরিবহন সক্ষমতা ৪০ শতাংশ বাড়বে অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার যাত্রী আসন পাওয়া যাবে।
গতবছর এমিরেটস-এয়ার কানাডার সঙ্গে একটি কোডশেয়ার চুক্তি সম্পাদন করে। এর ফলে যাত্রীরা ভায়া টরন্টো নিরবচ্ছিন্নভাবে কানাডার অভ্যন্তরীণ অনেক গন্তব্যে ভ্রমণ সুবিধা পাচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছে অটোয়া, মন্ট্রিয়েল, এডমনটন, ক্যালগেরি ও হলিফ্যাক্স ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
এমকে/আরআইএস