ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের কাছে ২১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার বেশি) পায়। দ্রুত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে না পারলে বা এই বিশাল দেনা শিগগিরই শোধ করতে না পারলে আকাশপথে যোগাযোগ সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।
রোববার (৪ জুন) ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএটিএ জানিয়েছে, অর্থ বকেয়া রাখার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর প্রথম স্থানে আছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থা জানিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্বে উড়োজাহাজ খাতে আটকে রাখা বকেয়ার হার ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে আটকে রাখা অর্থের পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ২২৭ কোটি ডলার। মোট পাঁচটি দেশ এ তহবিলের ৬৮ শতাংশ আটকে রেখেছে বলে সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। তালিকায় শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়ার কাছে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর পাওনা ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার।
প্রকাশিত তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা আলজেরিয়ার কাছে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর পাওনা ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। চতুর্থ অবস্থানে আছে পাকিস্তান। দেশটির কাছে সংস্থাগুলোর পাওনার পরিমাণ ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা লেবাননের কাছে পাওনা ১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে আইএটিএ সতর্ক করে আরও জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান এ দেনার কারণে উল্লিখিত দেশগুলোর আকাশ পথে সংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো প্রাপ্য অর্থ না পেলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো ওইসব দেশে তাদের সেবা অব্যাহত রাখতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের উচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহা করা যাতে আকাশপথের অর্থনীতি ঠিকঠাক বজায় থাকে।
বর্তমানে আইএটিএর অধীনে বিশ্বের ৩০০টি এয়ারলাইন্স রয়েছে, যা বৈশ্বিক এয়ার ট্রাফিকের ৮৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
এমকে/আরবি