নীলফামারী: উত্তরের জনপদ সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। ফলে উত্তরের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরছেন।
মঙ্গলবার (২৭) দুপুরের দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সড়কপথে যানজট, দুর্ভোগ, ভোগান্তি আর ঝুঁকি এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ বাড়ছে অভ্যন্তরীণ আকাশপথে। ফলে ঈদযাত্রায় অনেকে বিমানকে বেছে নিয়েছেন। যে কারণে বাড়তি চাপ কমাতে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে নিয়মিত ১৮টি ফ্লাইটের পাশাপাশি ৮টি ফ্লাইট বাড়িয়েছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা।
ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে বাস, ট্রেন, স্পেশাল পবিহনের মতো বিমান সংস্থাগুলোও চালু করেছে বাড়তি ফ্লাইট। ইউএস-বাংলা বাড়িয়েছে একটি ফ্লাইট। শিডিউল অনুযায়ী তাদের ৬টি ফ্লাইট প্রতিদিন সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
এয়ার অ্যাস্ট্রা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত দুটি ফ্লাইট বাড়িয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে এসব ফ্লাইট চলাচল করছে। ঈদের পরেও এক সপ্তাহ ফ্লাইটের এ সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানায় বিমানবন্দর সূত্র।
যাত্রী মো. আবু হোসেন বলেন, নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি বাড়তি ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। সকালে ফ্লাইটে ঢাকায় গিয়ে কাজ সেরে বিকেলের ফ্লাইটে আসতে পারছি। বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জোর দাবি জানান।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, গত ২২ জুন থেকে বাড়তি ফ্লাইটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। এই সেবা ২৮ জুন পর্যন্ত চলবে। রংপুর বিভাগের একমাত্র সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ব্যস্ততা অনেক বেশি। আকাশপথে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। ঘরমুখো যাত্রীরা সৈয়দপুর হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার যাত্রী এই আকাশপথে চলাচল করছেন। তবে ফিরতি পথে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঈদের দিনও শিডিউল ফ্লাইট চলাচল করবে।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে, যাত্রীরা আরও সুন্দরভাবে বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসআরএস