ঢাকা: মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের দু’টি ট্র্যাজেডি (এমএইচ ১৭, এমএইচ৩৭০) ও এয়ার এশিয়ার কিউজেড৮৫০১ উড়োজাহাজের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ছাড়া ২০১৪ সাল এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রির তুলনামূলক ‘নিরাপদ’ বছর ছিল।
এভিয়েশন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ফ্লাইটগ্লোবাল জানায়, ২০১৪ সালে মোট ১৯টি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত দু’বছরের এতোসব দুর্ঘটনা বিবেচনায় ২০১৫ সালের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকা প্রকাশ করেছে এয়ারলাইন প্রোডাক্ট অ্যান্ড সেফটি-রেটিং ভিত্তিক ওয়েবসাইট এয়ারলাইনরেটিংস.কম। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন অডিট, দুর্ঘটনার রেকর্ড, এয়ারলাইন্স পরিচালনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করেছে ওয়েবসাইটটি।
নিরাপদ এয়ারলাইনের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস এয়ারওয়েজ। দেশটির নিকটবর্তী দ্বীপরাষ্ট্রের এয়ার নিউজিল্যান্ড রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। চর্তুথ স্থানে হংকংভিত্তিক ক্যাথে প্যাসেফিক, পঞ্চম স্থানে দুবাইভিত্তিক এমিরেটস। আর আবুধাবিভিত্তিক ইতিহাদ এয়ারওয়েজ রয়েছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে।
এছাড়া, নিরাপদ এয়ারলাইন্সের দিক থেকে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তাইওয়ানের ইভা এয়ার, জার্মানির লুফথানসা, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও ফিনল্যান্ডের ফিন এয়ার।
একই ওয়েবসাইট দিয়েছে কম নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকাও। এ তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী নেপালের কাঠমাণ্ডুর ইয়াতি এয়ারলাইন্স। এরপর রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, এএসকেওয়াই এয়ারলাইন্স, জেটস্টার প্যাসিফিক, তাজি এয়ার ও স্পাইস জেট।
বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী ৪৪৯টি এয়ারলাইন্সের উপর জরিপ করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫