ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে: ফ্লাইট বিলম্ব, হঠাৎ বাতিল, যাত্রী সেবার নিম্নমান, হয়রানি, লাগেজ না পাওয়ার ভোগান্তি- এসবই যখন বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলোর অধিকাংশ সময়ের চিত্র, তখন ব্যতিক্রম সেবার পরিচয় মিলল রিজেন্ট এয়ারওয়েজে।
সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে উন্নত যাত্রী সেবার উদাহরণ দেখালো এই বেসরকারি এয়ারলাইন্স।
ঢাকা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বোর্ডিং পাস সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফ্লাইটে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রিজেন্ট স্টাফদের তদারকি ও সহযোগিতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককগামী রিজেন্ট ফ্লাইটটি সকাল দশটায় উড্ডয়নের কথা ছিল। এক সেকেন্ডও বিলম্ব না করে ক্যাপ্টেন আজিজ ও তার ক্রুরা নির্ধারিত সময়েই আরএক্স০৭৮৬ ফ্লাইটটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। আকাশপথের নিয়মিত যাত্রীরা এমন সমায়ানুবর্তিতা দেখে কিছুটা অবাকই হলেন। তাদের মুখে শোনা গেল রিজেন্টের সুনাম।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ওঠা যাত্রী অধ্যাপক দীপঙ্কর সৃজন বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘নানা কাজে নিয়মিত বিদেশে যাই। কিছু কিছু এয়ালাইন্সে ফ্লাইট বিলম্ব- যেন একটি অসুখের মতো। তবে রিজেন্ট এয়ারের সার্ভিস আমাকে মুগ্ধ করেছে। নির্ধারিত সময়ে উড্ডয়নের পাশাপাশি যাত্রীদের সার্বিক সেবার মান ধরে রেখেছে তারা’।
মাত্র দুই ঘণ্টার এই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দুইবার যাত্রীদের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের সরবরাহ করা খাবারগুলো স্বাদে ও মানে চমৎকারই বলতে হয়।
২০১০ সালে যাত্রা শুরু করা এয়ারওয়েজটির সেবার পরিচয় পাওয়া গেল ব্যাকংকেও। সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশন পর্ব শেষ করে নির্ধারিত কাউন্টারে আসতেই যাত্রীরা নিজেদের লাগেজ হাতে পেলেন। জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন যাত্রী বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রিজেন্টে চড়ে ভালো অভিজ্ঞতাই মিলল। আশা করি, এমন সেবা নিয়মিত পাবো’।
এদিকে পাঁচ বছর পূর্তিতে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের টিকিট মূল্যে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় টিকিট বিক্রি বহুগুণ বেড়েছে বলে জানালেন কর্মকর্তারা। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) শেষ হওয়ার কথা ছিল পাঁচটি আর্ন্তজাতিক ও দু’টি অভ্যন্তরীণ রুটের টিকিটে ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ছাড়ের সুযোগ। তবে চাহিদা বিবেচনায় এ ছাড়ের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই বিশেষ ছাড়ে ট্যাক্সসহ টিকিটের দাম ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ১৭ হাজার ২৪ টাকা, চট্টগ্রাম-ব্যাংকক-চট্টগ্রাম রুটে ১৮ হাজার ৫৩১ টাকা, ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ১৯ হাজার ৯৯৬ টাকা এবং ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ২৪ হাজার ৫১২ টাকা ধরা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে আট হাজার ৫১৬ টাকা, চট্টগ্রাম-কলকাতা-চট্টগ্রাম রুটে নয় হাজার ৫০৩ টাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পাঁচ হাজার ২৩৩ টাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ছয় হাজার ছয় টাকা টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে।
বিশেষ ছাড়ের টিকিটের যাত্রীরা আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ২৬ অক্টোবর সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দেশব্যাপী সকল সেলস্ সেন্টার এবং ট্র্যাভেল এজেন্টের কাছ থেকে এই টিকিট কেনা যাবে।
** কলম দেখলেই এগিয়ে আসেন তারা!
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
জেপি/এএসআর