ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজ অকেজো পড়ে আছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজ অকেজো পড়ে আছে

ঢাকা: ফ্লাইট পরিচালনায় গতি আনতে মিশর থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া করে বাংলাদেশ বিমান। বিপুল অর্থ ব্যয়ে আনা সেই উড়োজাহাজটি গত ৩ মাস ধরে রানওয়েতে অকেজো পড়ে আছে।

এজন্য প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতি গুণতে হচ্ছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটিকে। এনিয়ে সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিষয়টি তদন্তে সংসদীয় সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিমানের উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে ফ্লাইট পরিচালনা না করতে পারার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। পরে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি সূত্রে জানা যায়, কমিটির সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে মো. আফতাব উদ্দিন সরকার ও রওশন আরা মান্নানকে সদস্য রাখা হয়েছে। সাব-কমিটিকে তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ভাড়া বিমানের বিষয়ে কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান বাংলানিউজকে বলেন, একটি বিমান ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে। দীর্ঘ তিন মাস পড়ে আছে। প্রথমে ইঞ্জিনের সমস্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন তার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি নিরুপণ করবে। সাব কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এবিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।

কমিটি সূত্র জানায়, মিশর থেকে ভাড়ায় আনা দু’টি উড়োজাহাজের একটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পড়ে আছে। যার কারণে বিমানের ফাইট শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। বিমানের এ উড়োজাহাজ সংকটের পুরোটাই কৃত্রিম বলে অভিযোগ উঠেছে। এর নেপথ্যে উড়োজাহাজ লিজ বাণিজ্য কাজ করছে। এবিষয়ে কমিটির কাছে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

কমিটির বৈঠকে বিমান বন্দরে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাস ভাড়া ও ক্রয় করার বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানকে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

আর জরুরিভিত্তিতে এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে পুরাতন, জরাজীর্ণ বিমানগুলো অপসারণ এবং মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে বলা হয়।

এছাড়া হোটেল সোনারগাঁওয়ের সংস্কারের সব কাজ কতোদিনের মধ্যে সমাপ্ত করা যাবে এবং রুপসী বাংলা হোটেলের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এসএম/জেডএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।