ঢাকা: ফ্লাইট শিডিউলে অনিয়ম, গালি-গালাজ হয়রানির শিকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নারী পাইলটরা। যোগ্যতা থাকলেও হয় না পদোন্নতি।
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৫ জন পাইলট ও ১০ জন কো-পাইলট কাজ করছেন। এদের মধ্যে ৯ জন নারী রয়েছেন। সম্প্রতি দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিমানের এক কো-পাইলটের প্রচণ্ড জ্বর থাকার পরও পদোন্নতি বন্ধের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করেন শিডিউল প্রধান। এ সময় ওই কর্মকর্তা তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করলে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পরও, এক নারী পাইলটকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে, ২ বছর ধরে তিনি কোনো ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগই পাননি।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম ইকবাল হোসেন বলেন, এখানে সেফটি ডিরেক্টর থাকেন, ট্রেনিং ডিরেক্টর থাকেন। তারা যাকে পছন্দ করেন, তাকেই ফ্লাইং দের-ট্রেনিং-এ পাঠান৷ এটা এক ধরনের হয়রানি।
একই সঙ্গে এক নারী কো-পাইলট অভিযোগ করেছেন, ফ্লাইটে এক পুরুষ পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে, এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট ক্রু-রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা সিআরএমকে জানানো হলে ওই নারী পাইলটকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। এতে ভয়ে রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকছেন হেনস্তার শিকার অন্য পাইলটরা৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হবে। যদি কোনো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কোনো নারী হয়রানির শিকার হোক এটা কেউ চাই না।
অতীতেও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নারী পাইলটদের ধারাবাহিক পদোন্নতি আটকে দেওয়ার পর চাকরি ছাড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে, এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের কপি পেয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যানও। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের দফতরে যোগাযোগ করা হলে, তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২২
এমকে/এসআইএস