ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করেছে ট্যাড লজিস্টিকস। প্রথম ফ্লাইটটি ইতোমধ্যেই যাত্রা করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ট্যাড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, কার্গো ফ্লাইটের সাহায্যে আমাদের রপ্তানি প্রক্রিয়ায় আয় বৃদ্ধি পাবে। এই সরাসরি ফ্লাইটটি সপ্তাহে দুইবার চলবে। চাহিদার ভিত্তিতে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে পাঁচ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এখন বাজারের চাহিদার সাথে তাল মেলানো এবং ব্যবসার ধারাবাহিকতার বজায় রাখার জন্য উদ্যোক্তারা পণ্য আমদানি ও রপ্তানির নির্ভরযোগ্য বিকল্প খুঁজছেন। এই সেবাটি সময় সাশ্রয় করবে এবং একদিনের মধ্যে যেকোনো জরুরি পণ্য এসে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দেবে।
এর ফলে বাংলাদেশ থেকে পচনশীল পণ্যসমূহের রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, কাঁকড়া, আরএমজি, মাছ ও মানুষের চুল।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) মতে এই অর্থবছরে কোরিয়ায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অন্তর্বাস, ডেনিম, শার্ট, জ্যাকেট এবং পুলওভারের মতো বৈচিত্র্যময় পোশাকের সমাহার রপ্তানি করবে।
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রমাগত ব্যয় বৃদ্ধির কারণে পোশাক উত্পাদন ক্রমশ চীনের বাইরে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এখন কোরিয়ার বাজার দখল করার সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া বর্তমানে বেইজিং থেকে তাদের পোশাকের চাহিদার ৩৪ শতাংশ পূরণ করে।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) কর্তৃক প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে জানা যায়, কিছুটা ধীর গতিতে হলেও ২০১৭ সাল থেকে কোরিয়ান পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২২ অর্থবছরে তা ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করে, যা ৪ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
টিআর/এমজেএফ