মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রয়াত নেতার চারিত্রিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মেয়র হানিফের একমাত্র ছেলে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেলক হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নওফেল চৌধুরী, ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি, ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
মঙ্গলবার সকালে আজিমপুর কবরস্থানে মেয়র হানিফের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেয়র সাঈদ খোকন। এরপর মেয়র আসার আগেই নগর ভবন মিলনায়তনে আসতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাদ যায়নি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও। বেলা ১২ টার মধ্যে পুরো নগর ভবন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। কেউ মাথায় কালো ক্যাপ, কেউবা বুকে কালো কাপড় লাগিয়ে আসেন স্মরণসভায়।
মেয়র হানিফের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মীদের কীভাবে সংগঠিত করতে হয় তা শিখিয়েছেন মেয়র হানিফ। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে মানব ঢাল তৈরি করে নেত্রীকে বাঁচিয়েছেন। এমন নেতার আজ বড় অভাব। এরকম কর্মী আমাদের আরও চাই। তিনি রাজনীতি করতেন ব্যবসা করার জন্য নয়। রাজনীতি করতেন মানুষের কল্যাণে।
বিএম মোজাম্মেলক হক বলেন, কতটা বিচক্ষণ হলে অতি অল্প বয়সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী হওয়া যায় চিন্তা করুন। এ রকম ত্যাগী নেতা আমাদের বড়ই অভাব।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমার বাবা আমৃত্যু মানুষের কথা চিন্তা করেছেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আমি বাবার পাশে থেকে দেখেছি কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। একজন রাজনীতিবিদের বড়গুণ কর্মীদের কাছে টেনে নেওয়া, মানুষকে ভালবাসা। সেটা আমি বাবাকে দেখেছি। তার হাত ধরেই রাজনীতি শিখেছি। বাবার শেখানো পথ ধরে এগিয়ে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ