বাম দলগুলোর হরতালের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে হঠাৎ করে বলা হলো ইসি আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, দেশে কোনো আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছে। তারা মনে করছে তাদের বিদেশি প্রভুরা তাদের দাবিদাওয়া সংরক্ষণ করবে। তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাদের অযৌক্তিক কোনো দাবি কোনোদিনই মানা হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোদিন আসবে না। এটি এখন একটি মৃত দাবি। দেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে ইসি, আর সরকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে ইসিকে সহায়তা করবে।
মানববন্ধন ও সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাম দলগুলোর ডাকা হরতালে ঘি দিয়েছে বিএনপি। বাম দলগুলোও জিয়ার খালকাটায় অংশ নিয়ে সামরিকজান্তা ও মৌলবাদকে সমর্থন দিয়েছিল। আর আজকে তাদের হরতালের মাধ্যমে মৌলবাদ ও উগ্রবাদকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম। এছাড়া মিনিমাম বিলের প্রথাও তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ২৯ লাখ নিম্ন আয়ের বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিল কমে গেছে। তাহলে কেন এই হরতাল?
বাম দলগুলোর ডাকা হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেন ড. হাছার মাহমুদ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে এসেছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে কারো আবদার পূরণের জন্য কিছু হবে না, যা হবে সংবিধান অনুযায়ী।
মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম ও অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএসি/এমজেএফ