রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত জাং ঝুয়া’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, বিগত সময়ের মতো জ্বালাও-পোড়াও করলে বিএনপি গভীর সংকটে পড়বে। তা উপলব্ধি করেই তারা এখন ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে যাচ্ছে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি যে ভুল করেছে তারা এখন উপলব্ধি করে বলে আমার ধারণা। তাদের মতো একটি বৃহত্তর দলের প্রধান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন। এতে সরকারের কোনো হাত নেই। আদালত তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি ছাড়া পাবেন কি পাবেন না। তাই বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, গতকালও সিলেটে বিএনপির প্রার্থী জিতেছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে তো তিনি জিততে পারতেন না। আমরা দুইটিতে জিতেছি। তারা একটিতে জিতেছে। আমরা প্রত্যাশা করি তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, যখন সংলাপের প্রয়োজন ছিল তখন তারা সংলাপে অংশ নেয়নি। আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনকালীন সময়ে ক্ষমতায় থেকে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করবে, কিন্তু নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। এটা পরিষ্কার, এটা নিয়ে অলোচনার কিছু নেই।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলোর সদস্যদের নিয়ে। এটার একমাত্র এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ঠিক করবেন, এ সরকার ছোট হবে না, বড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
আরএম/টিএ