ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। এর আগে গত ১৪ আগস্ট সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আউয়াল খান কৃষি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর বেশ উন্নতি হতে থাকে। পরে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট অবসরজনিত ছুটিতে যান তিনি।
আরো পড়ুন>>
** বেসিক ব্যাংকের এমডির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ৩০ আগস্ট
ছুটিতে থাকা অবস্থায় সরকার বেসিক ব্যাংকের এমডি হিসেবে আউয়াল খানকে নিয়োগ দেয়।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঋণে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটে বেসিক ব্যাংকে। ওই সময় ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পান খন্দকার মোহাম্মদ ইকবাল।
খন্দকার ইকবালের আমলে সবশেষ দুই বছরে ব্যাংকটি লোকসান কাটিয়ে মুনাফাও করে। ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইকবালের মেয়াদ শেষ হয়ে। এরপর ওই বছরের ১ নভেম্বর যোগ দেন মুহাম্মদ আউয়াল খান।
তবে আউয়াল খান যোগদানের পর আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খারাপের দিকে যাওয়ার অন্যতম কারণ নতুন এমডিকে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে বিভিন্ন সময় এমডির দেওয়া নির্দেশনাও পালন করেননি অনেক কর্মকর্তা। এনিয়ে কারও কারও ওপর নাখোশ হয়েছেন আউয়াল খান।
তার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার আগে সর্বশেষ দুই মাসে ব্যাংকটির প্রতি মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকা করে লোকসান হয়েছে। তারপর আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ঋণের সুদ এক অঙ্কে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া।
বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাটের পর ঋণের সুদহার কমানোর কারণে ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি করতে কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না আউয়াল খান। তাই বাধ্য হয়েই মূলত পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বোর্ড সভায় তার (আউয়াল খান) পদত্যাগপত্র উত্থাপিত হবে। পর্ষদ সদস্যরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারও বিষয়টি দেখবে।
পদত্যাগপত্র বোর্ডে অনুমোদন হলে বেসিক ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ দিতে হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যমতে, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। ৬৮ শাখার মধ্যে লোকসানে রয়েছে ২১টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এসই/এমএ