বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, হাফিজ ইব্রাহিমের আবেদন আংশিক মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। তথ্য গোপনের অভিযোগে তার তিন বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি দুই বছরের বেশি সাজা খেটে ফেলায় তাকে আর বাকি সাজা খাটতে হবে না। তবে তাকে ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে হাফিজ ইব্রাহিমকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ২০০৮ সালের ১৯ জুন হাফিজ ইব্রাহিমকে মোট ১৩ বছরে কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। আপিলের পর হাইকোর্ট হাফিজ ইব্রাহিমকে খালাস দেন।
খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের পর আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির জন্য হাইকোর্টে পাঠান। এর বিরুদ্ধে হাফিজ ইব্রাহিম রিভিউ করলে সেটিও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
পরে আপিল বিভাগের আদেশ মতে হাইকোর্ট বিভাগে এ মামলার পুনঃশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ