ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

বিএনপি

হেলমেটধারী যুবকসহ ৬ জন ৫ দিনের রিমান্ডে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
হেলমেটধারী যুবকসহ ৬ জন ৫ দিনের রিমান্ডে নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িয়ে ভাঙচুর করছেন বিএনপি সমর্থকরা | ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের হামলা, সংঘর্ষ ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হেলমেটধারী সেই যুবকসহ গ্রেফতার ৬ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান।

৬ আসামি হলেন—১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী এইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূঁইয়া, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আলম।

সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এইচ কে হোসেন আলী হেলমেট পরে গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে উঠে লাফিয়েছিলেন, সোহাগ লাঠি হাতে গাড়ি ভাঙচুর করে ও শার্ট খুলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিলেন, আব্বাস খালি গায়ে উন্মত্ততা প্রকাশ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন, আশরাফুল পুলিশের পিকআপে প্রথম আঘাত করেন, জাকির ও মাহবুবুল উপস্থিত থেকে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দেন।

এর আগে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, এরা সবাই এজাহারনামীয় আসামি। যারা অজ্ঞাত ছিলেন তাদেরও মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজের সহায়তায় শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সেদিন যখন হামলা করা হয় তখন কোনো কোনো নেতারা তাদের হেলমেট পরে যেতে বলেছেন, যাতে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না যায়। লাঠিও ওখানে আগে থেকেই জড়ো করা হয়েছিল, কেউ কেউ লাঠি নিয়ে যেতে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত আছে তাদের কাউকে কাউকে শনাক্ত করা হয়েছে আবার কাউকে শনাক্ত করার কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, সেদিন যে ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল সেটি ফৌজদারী অপরাধ। ফৌজদারী অপরাধ বিবেচনায় নিয়েই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, এখানে কারও রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়।

যে যুবক গাড়িতে আগুন দিয়েছে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারলেও এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এর বাইরেও অনেককে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।