শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করছে। তফসিলের পর কোনো গ্রেফতার হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। তারা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার বন্ধ করুন, গ্রেপ্তারদের মুক্তি দিন। অন্যথায় উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতির সব দায়-দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কাল বা পরশু কমিশনে যাবো, ফরমালি অভিযোগ করবো, এর আগেও করছি, আবারও করবো।
ভোলায় মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমদ এর বাসায় নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ক্যাডার বাহিনী হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, পাঁচবার ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত করেছি। ২০০৮ সালে অনেক কারচুপির পর ১৩০০ ভোটে পরাজিত হই। গত দুই ঈদে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরে আশা করেছিলাম সবাই নির্ভয়ে কাজ করতে পারবো। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। বলতে চাই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি মনে করি না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই। সবাই ধানের শীষের প্রার্থী। মির্জা ফখরুল দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, বিএনপি শেষ পর্যন্ত কি করবে বোঝা যাচ্ছে না, ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখুক না; কয়টা আসন পায়। আসলে তারা জেনে গেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৩০টির বেশি আসন পাবে না। সে জন্যেই এসব কথা বলছে।
নির্বাচনে থাকবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে ফখরুল বলেন, আমরা এতোকিছু করছিতো নির্বাচনে থাকার জন্য, আপনাদের কি মনে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
জেডএস