ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

সরকার অমানবিক নয়, খালেদার চিকিৎসায় ব্যবস্থা নিয়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
সরকার অমানবিক নয়, খালেদার চিকিৎসায় ব্যবস্থা নিয়েছে

নারায়ণগঞ্জ: কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কাদের এ দাবি করেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়।

সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তার অসুস্থতা নিয়ে এখন তারা রাজনীতি করার পথ বেছে নিয়েছে।

এমন রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

চলমান ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিরোধীদল না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলেও শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলে দাবি করেন কাদের।

নির্মাণাধীন সেতুর ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করা হবে। আগামী ১০ মার্চ কাঁচপুরের সেতুটি প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতু পর্যায়ক্রমে এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হলে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দু’টির উদ্বোধন করবেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই তিনটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে ঈদের সময়ে কোনো ধরনের যানজট থাকবে না। সাধারণ মানুষ অনায়াসে ঈদযাত্রা করতে পারবে। কাউকে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। উপমহাদেশের ক্রস-বর্ডার টেরোরিজম বা সীমান্ত-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছে। সীমান্তে যেসব সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রশাসন এবং সড়ক-জনপথ ও সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।