ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

এবারের বইমেলায় যা যা ঘটেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
এবারের বইমেলায় যা যা ঘটেছে

ঢাকা: লেখক পাঠক দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় শেষ হলো এবারের বইমেলা। তবে বিভিন্ন কারণে এবারের বইমেলা থেকে থেকে যাবে সবার হৃদয়ে।

এসবের মধ্যে যেমন ভালো লাগা আছে, তেমনি আছে খারাপ লাগাও। সেই সকল ঘটনার ভেতর থেকেই কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।

বইমেলায় ‘আদর্শ’কে স্টল না দেওয়া:
এবার অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’কে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে হাইকোর্টেও রিট হয়। বাংলা একাডেমির মতে, বইমেলার নীতিমালা অনুসরণ না করে ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ নামের একটি বই প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য বইমেলার স্টলে রাখতে চাওয়ায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবার। বাংলা একাডেমি বলেছে, বইটি বইমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ১৪.১৪ ও ১৪.১৫-এ বর্ণিত শর্তাবলি পূরণে সক্ষম হয়নি।  

বাংলা একাডেমির চোখে ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইয়ের ‘বিতর্কিত’ অংশটুকুও তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, বইটির ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় বাঙালি জাতিসত্তা; ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বিচার বিভাগ, বিচারপতি, বাংলাদেশের সংবিধান, সংসদ সদস্য; ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ৭১ নম্বর পৃষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অপ্রাসঙ্গিক, রুচিগর্হিত, কটাক্ষমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে, যা সংবিধানের ৩৯ (২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে বাক্‌ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী। অনুরূপভাবে কমিটি মনে করে, বইটি বইমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলির পরিপন্থী।

এছাড়া অদর্শের প্রকাশিত জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ বই দুটিও একুশে বইমেলায় বিক্রি করতে বারণ করা হয়।

স্টল বরাদ্দের লটারি থেকে আদর্শকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়’ আখ্যায়িত করেন প্রকাশক মাহবুব। তিনি বলেন, ‘কোনো একটি বইয়ের জন্য তারা পুরো একটি প্রকাশনাকে বাতিল করেছে। যে প্রকাশনা থেকে ছয় শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আসলে ছয় শতাধিক বই ও তিন শতাধিক লেখককে নিষিদ্ধ করা হয়। ’

দুটি বই বিক্রি নিষিদ্ধ:
এবারের বইমেলায় দুটি বিক্রির জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এরমধ্যে একটি গতিধারা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ববি হাজ্জাজের বই ‘প্রেসিডেন্টের লুঙ্গি নাই’। একুশে বইমেলায় বইটি নিষিদ্ধ করে বাংলা একাডেমির টাস্কফোর্স কমিটি। বইটির লেখক ববি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান।  

বইটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বাংলা একাডেমির টাস্কফোর্সের সভাপতি অসীম কুমার দে জানান, বইমেলার নীতিমালায় বলা আছে- কাউকে কটাক্ষ করে কোনো বই প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু বইটির শুরুতেই কটাক্ষ করা হয়েছে। নীতিমালা না মানায় বইমেলায় এই বইটি বিক্রি ও প্রদর্শন করতে মানা করা হয়েছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে। তারা আমাদের সাথে একমত হয়েছেন এবং বইটি মেলায় বিক্রি ও প্রদর্শন করছেন না।

অপরদিকে বাংলা একাডেমির টাস্কফোর্সের নির্দেশে প্রবাসী লেখিকা জান্নাতুন নাঈম প্রীতির বই বিক্রি বন্ধ করে নালন্দা। বইমেলার নীতিমালা পরিপন্থী ব্যক্তি আক্রমণ ও বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য থাকার অভিযোগে বইটি মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নালন্দা প্রকাশনীর প্রকাশক রেদোয়ানুর রহমান জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলা একাডেমির টাস্কফোর্স এসে জান্নাতুন নাঈম প্রীতির ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ বইটি বইমেলার স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রি করতে নিষেধ করে। পরে আমরা মেলার স্টলে বইটি প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধ করি। ’ 

বাংলা একাডেমির টাস্কফোর্সের সভাপতি ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি অসীম কুমার দে বলেন, ‘এ বইটিতে বইমেলার নীতিমালা পরিপন্থী নানা বিষয় রয়েছে। ব্যক্তি আক্রমণ ও বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে। যার কারণে আমরা চলমান অমর একুশে বইমেলা থেকে বইটির প্রদর্শন ও বিক্রয় বন্ধের জন্য প্রকাশককে জানিয়েছি। প্রকাশক আমাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। ’

বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি:
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে চিঠি পাঠিয়েছিল আনসার আল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। ডায়েরিতে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় আনসার মাওলানা সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আতঙ্কিত। শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার শিল্পী আক্তার সাধারণ ডায়েরিটি গ্রহণ করেন।

বইমেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি:
চলতি বছর বইমেলায় কমপক্ষে ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। গতবছর মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই। করোনাকালের মধ্যে ২০২১ সালে মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৩ কোটি টাকার বই। ২০২০ সালে সাড়ে ৮২ কোটি; ২০১৯ সালে ৮০ কোটি এবং ২০১৮ সালের মেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ৭০ কোটি টাকার বই। তার আগে ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪২ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল।

মেলায় নতুন বই:
এবছর বইমেলায় নতুন বই এসেছে তিন হাজার ৭৩০টি। তবে এ হিসাব বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে জমা পড়া বইয়ের। এর বাইরেও মেলায় নতুন বই প্রকাশ হয়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সমাপনী দিনে বাংলা একাডেমি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ বছর সর্বোচ্চ বই প্রকাশিত হয়েছে কবিতার। যা সংখ্যার হিসেবে এক হাজার ২৪৭টি। এছাড়া এবছর গল্পের বই ৪৬৬টি, উপন্যাস ৫০৩টি, প্রবন্ধ ১৯৭টি, গবেষণা ৭৫, ছড়া ৮১, শিশুতোষ ৭৯টি, জীবনী ১২৮, রচনাবলি ৪৩, মুক্তিযুদ্ধ ৮০, নাটক ৫৪, বিজ্ঞান ৫১, ভ্রমণ ৬৭, ইতিহাস ৮৭, রাজনীতি ৩৩, স্বাস্থ্য ৩৩, রম্য ২২, ধর্মীয় ৫৫, অনুবাদ ৬৯, অভিধান ১৩, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ৬৭, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৩৫ এবং বিবিধ বিষয়ে বই এসেছে ২৬৬টি।

প্রকাশ করা হয়নি মানসম্মত বইয়ের তথ্য:
প্রতি বছর বইমেলা শেষে বইমেলার নতুন বইগুলোর মধ্যে কতটি বই মানসম্মত- ওই তথ্যটি প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি, যা নিয়ে বিতর্কের অন্ত থাকে না। এ বছর বাংলা একাডেমি এই তথ্যটি প্রকাশ করেনি। এ প্রসঙ্গে বই মেলার সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এত স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন বইয়ের মান যাচাই করা সম্ভব না। আর করলেও তা যথাযথ হবে না। ’

প্রায় ৬৬ লাখ পাঠক দর্শনার্থী লেখক:
বাংলা একাডেমির তথ্যমতে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৩জন পাঠক, দর্শক ও লেখক মেলায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণ ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। শেষ বিকেলে বই কিনে ঘরে ফেরার আনন্দে উদ্বেল ছিলেন পাঠকরা। সে হিসেবে গড়ে ২৮ দিনে ৬৫ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি পাঠক, দর্শক ও লেখক মেলায় এসেছেন।

গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩:
অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে মূল মঞ্চে দেওয়া হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার। ২০২২ সালে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন মার্কিন লেখক ও অনুবাদক ক্যারোলিন রাইট এবং কানাডাপ্রবাসী সাহিত্যিক জসিম মল্লিক। ক্যারোলিন রাইট মেলায় আসতে পারেননি, তবে জসিম মল্লিক সশরীরে এসে মেলায় তার পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। এ পুরস্কারের মূল্যমান ১ লাখ টাকা। এদিন কবি মোহাম্মদ রফিককে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত দ্বিবার্ষিক পুরস্কার ‘কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হয়। এ পুরস্কারের মূল্যমান ২ লাখ টাকা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে চার পুরস্কার:
সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনীকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে আহমদ রফিক রচিত ‘বিচ্ছিন্ন ভাবনা’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ রচিত বাংলা একাডেমি ‘আমার বাংলা একাডেমি’ বইয়ের জন্য ঐতিহ্য এবং হাবিবুর রহমান রচিত ‘ঠার : বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘ময়ূরপঙ্খিকে’ ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘পুঁথিনিলয়’ (প্যাভিলিয়ন), ‘নবান্ন প্রকাশনী’ (২-৪ ইউনিট), ‘উড়কি’ কে (১ ইউনিট) - শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

স্টল ও প্যাভিলিয়ন:
এবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমি-সহ ৩৮টি প্রতিষ্ঠান উভয়প্রান্তে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পায়। এবার এক ইউনিটের ৩২৮টি, দুই ইউনিটের ৩২২টি, তিন ইউনিটের ১৫৯টি এবং চার ইউনিটের ৯২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুদের জন্য ৭১টি প্রতিষ্ঠান ১১১টি ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পায়।

নীতিমালা অমান্যকরণ:
এবার নীতিমালা অমান্য করে স্টলের কাঠামো বানানোর কারণে ৩টি প্যাভিলিয়নকে সতর্ক করে পত্র দেওয়া হয়। তারা নীতিমালার প্রতি সম্মান রেখে স্ব স্ব কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেন। অন্যদিকে সুস্পস্ট কিছু নীতি ভঙ্গ করায় মেলা শুরুর প্রথম দিকে ৯টি এবং পরবর্তীকালে আরও ৮টি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর সতর্কতামূলক পত্র দেওয়া হয়। পরে অঙ্গীকার নামা দেওয়ায় তাদের স্টল চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। মেলা শুরুর প্রথম পর্যায়ে নীতিমালা ভঙ্গের কারণে দু’টি প্রতিষ্ঠানের দু’টি বই কমিটি কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আরও একটি বইয়ের প্রচারণা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পত্র দেওয়া হয়।

ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার:
এবার গ্রন্থমেলায় অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি হারে ডিজিটাল ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদান করা হয়েছে। এবার বইমেলার তথ্যফরম, আবেদন পত্র, ভাড়া গ্রহণ ইত্যাদি সব কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়েছে। এর ফলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়েছে। বইমেলা নিয়ে নির্মিত বাংলা একাডেমির ba21bookfair.com ওয়েবসাইট রয়েছে। মেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শক-ত্রেতাদের সেবা দিয়েছে। এছাড়া এবার প্রচুর ই-বুক, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বই প্রকাশিত ও বিক্রি হয়েছে।

শেষে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নান্দনিক আলোকসজ্জ্বায় শেষ হয় এবারের বইমেলার আসর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।