ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

বইমেলায় জমছে লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীর আড্ডা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
বইমেলায় জমছে লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীর আড্ডা এবার শুরুর দিনগুলোতেই জমে উঠছে বইমেলা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বছর ঘুরে এসেছে বইমেলা। এটি শুধু মেলা নয়, যেন বাঙালির উৎসব।

এই উৎসব ধর্ম-বর্ণ, দল-মত সব কিছুর ঊর্ধ্বে। এমন উৎসবের অপেক্ষায় থাকে সারা বাংলার বইপ্রেমীরা। বাঙালির কাছে বই শুধু কোনো কাগজে মোড়ানো গল্প কাহিনী কিংবা কবিতা না, বই বাঙালির আবেগের জায়গা, ভালোবাসার জায়গা, অস্তিত্বের জায়গা।

বই পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারো পছন্দ কবিতা, কারো পছন্দ গল্প কিংবা কারো উপন্যাস। সব ধরনের বইয়ের মিলন ঘটে এ বইমেলায়। শুধু বই না, মেলায় মহামিলন ঘটে লেখক ও পাঠকদের।

মেলা কি শুধু লেখক কিংবা পাঠকে সীমাবদ্ধ? না, দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এ প্রাণের মেলায়। বই কিনুক বা না কিনুক, পছন্দের গল্পকার, সাহিত্যিককে এক নজরে দেখার সাধ কার না জাগে!

মেলায় আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাহিদ সুলতানা জানান, তিনি গত ৫ বছর ধরে আসছেন বইমেলায়। বই কেনার চেয়ে মেলায় ঘুরতে বেশি পছন্দ করেন তিনি। আরেক পাঠক আইরিন সুলতানা বলেন, এবারের বইমেলা অন্যান্য বারের চেয়ে আরও সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিদিনই প্রায় বইমেলায় আসা হয়। প্রতিদিনই যেন বইমেলার নতুন রূপ চোখে পড়ে।

প্রকাশকরা বলছেন, মেলা মাত্র শুরু, সেই প্রেক্ষিতে বইয়ের কেনাবেচা মোটামুটি ভালো। তবে কাগজের দাম বাড়ায় বইয়ের দাম একটু বেড়েছে। তবুও যারা বই কেনার, তারা কিনছেন। অনেকে এসে দেখে চলে যাচ্ছেন। তবে যাই হোক, বইমেলা আমরা এবার খুব উপভোগ করছি।

রোববার মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন নতুন বই এসেছে ৬৬টি।

এ দিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন। আলোচনার শুরুতে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্রকার ও লেখক তানভীর মোকাম্মেল, শিশুসাহিত্যিক বেণীমাধব সরকার, গবেষক কাজল রশীদ শাহীন এবং কবি ফারুক আহমেদ।  

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আনিসুল হক, ফারুক মাহমুদ এবং ঝর্না রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং নায়লা তারান্নুম চৌধুরী।

এছাড়া ছিল অনুপম বিশ্বাসের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বেসিক একাডেমি অফ ইয়োগিক অ্যাকুস্টিক ট্রেডিশনাল ইন্সট্রুমেন্ট’ এবং মো. সাজেদুল ইসলাম ফাতেমীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নকশিকাঁথা’র সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, চন্দনা মজুমদার, আব্দুল লতিফ শাহ, আরিফ দেওয়ান এবং সরকার আমিরুল ইসলাম।

আগামীকাল সোমবার অমর একুশে বইমেলার পঞ্চম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।