ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ছিমছাম বইমেলা, আসছে পাঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
ছিমছাম বইমেলা, আসছে পাঠক

ঢাকা: উদ্বোধনের পর থেকেই ছুটির দিন পড়ায় পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ। তবে প্রথম থেকে গত কয়েক দিন মেলায় আগতদের অভিযোগ ছিল মেলা প্রাঙ্গণের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে।

অব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী, জঞ্জাল পড়ে থাকা, স্টল, শৌচাগার, ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ, মোড়ক উন্মোচন কেন্দ্র ইত্যাদির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার পঞ্চম দিনে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ দিন মেলা প্রাঙ্গণ অনেকটাই গোছানো মনে হয়েছে। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। মেলার মাঠও দেখা গেছে অনেকটা পরিষ্কার। স্বচ্ছন্দে ঘুরে ফিরে বই কিনেছেন পাঠকরা। সময় নিয়ে বই নেড়েচেড়ে দেখেছেন মেলায় আগতরা।

বিকেল থেকে সব বয়সের পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নবীন-প্রবীণ অনেক লেখক এসেছিলেন মেলায়। তবে বইমেলায় তরুণ লেখকদের সমাগম বেশি। গল্প, উপন্যাস, কবিতার পাশাপাশি সংগীত, ভ্রমণ, বিজ্ঞান, চিকিৎসাসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে তারা লিখছেন। মেলায় প্রতিদিনই আসছে নতুন বইও।

বইমেলায় আসা তন্ময় দাশ বলেন, এবার মেলা শুরুর পর আজই প্রথম এলাম। বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখছি। কিন্তু অধিকাংশ প্রিয় লেখকের বই এখনো আসেনি। তাই ভাবছি আবারও আসব মেলায়। মেলার পরিবেশটা ভালো লাগছে। নতুন বইয়ের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে কথা হয় কবি রবীন্দ্র গোপের সঙ্গে। তিনি বলেন, বইমেলায় আসা অনেক মানুষ খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে—এমন দৃশ্য দেখে ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে। মানুষের জীবন কেমন যান্ত্রিক হয়ে গেছে। অর্থনীতি একটা বড় ভূমিকা রাখছে। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলে জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় হারিয়ে যায়। তবে যেহেতু মেলার প্রথম দিক, তাই হয়তো এমন। পাঠক আসছে, মেলা ছিমছাম রূপে গুছিয়ে উঠেছে, আশা করি জমবে দ্রুতই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।