ঢাকা: বইমেলার ছুটির দিনের সকালটা থাকে অন্য রকম। বইমেলার সকাল মানে ‘শিশুপ্রহর’।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনে সকাল থেকেই বইপ্রেমীদের ভিড়, হই-হুল্লোড়, তরুণ-তরুণীদের ছুটে চলা, ছবি-সেলফিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বইমেলা। সকালের দিকে মেলার শিশু চত্বর ছিল প্রাণবন্ত। বিকেল থেকে বিভিন্ন বয়সী পাঠক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলা।
শিশুপ্রহরে কথা হয় আনিসার সঙ্গে। মোহাম্মদপুর ওয়াইডব্লিউসি স্কুলের এ শিক্ষার্থী বলে, ‘মেলায় অনেক ভালো লাগছে। আমার অনেক অনেক পছন্দের ইকরি ও হালুমের সঙ্গে খেলা করেছি, ছবি তুলেছি। অনেক ভালো লাগছে। ’
পাঁচ বছর বয়সী ছেলে জিসান ও সাত বছর বয়সী মেয়ে নাহিদাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন আফরোজা আক্তার। পেশায় শিক্ষক আফরোজা বলেন, ‘ছুটির দিন থাকায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বইমেলায় এসেছি। নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করে দিতেই তাদের নিয়ে আসা। ’
বিকেল ৩টার পর থেকে শিশু চত্বরের বাইরেও দ্রুত ভিড় বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বইপ্রেমীদের ভিড়। ছুটির দিন উপলক্ষে প্রচুর মানুষ বইমেলায় এসেছেন। বই কিনেছেন। হাতে হাতে দেখা গেছে বই। অনেকে আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছিলেন বইয়ের এ উৎসবে।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ বলেন, বইমেলা হলো নতুন বই সংগ্রহের সবচেয়ে বড় আয়োজন। যখন ছাত্র ছিলাম প্রায় প্রতিদিনই বইমেলায় আসতাম। পেশাগত ব্যস্ততার কারণে এখন সেটি হয়ে ওঠে না। তাই শুক্রবার হওয়াতেই বইমেলায় ছুটে এসেছি।
কথা হয় অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হকের সঙ্গে। তার বিশ্বাস, এ বছর মেলা বেশ জমবে। করোনার কারণে দুই বছর মেলা এলোমেলো ছিল। গত বছর কাগজের দাম বাড়ার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। এ বছর সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ইতিবাচক। বহু বিখ্যাত বইয়ের প্রকাশক মনিরুল হক জানান, এবার তারা শতাধিক বই প্রকাশ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও গবেষণা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
এইচএমএস/আরবি