ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বড়দের হাত ধরে আসছে শিশুরা, ভালো কিছুর প্রত্যাশা প্রকাশকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
বড়দের হাত ধরে আসছে শিশুরা, ভালো কিছুর প্রত্যাশা প্রকাশকদের

ঢাকা: শুরু থেকেই এবার বইমেলার চিত্রটা অন্যরকম। অন্যান্যবারের হিসেব যা বলে, তাতে মেলায় পাঠক আসে সাধারণত সপ্তাহখানেক পরে।

কিন্তু এবার শুরু থেকেই মেলায় পাঠক আসতে শুরু করেছে। আর সপ্তাহ পেরুনোর পর এখন তো প্রতিদিনই মেলায় জনতার ভিড় নামে। তারা শুধু মেলায় আসছেন, তা নয়; বরং বইও কিনছেন।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১১টায় মেলার দুয়ার খুলে দেওয়ার পর সব শ্রেণির পাঠকরা বই মেলায় আসছেন। আর ভেতরে গিয়েই যার যার মতো করে নতুন বইয়ের খোঁজ নিচ্ছেন তারা। নিজের প্রিয় লেখকের নতুন বইয়ের কিছু অংশ পাঠ করেই পাঠকরা কিনছেন বই। সংগ্রহ করছেন ক্যাটালগও।

সব শ্রেণির পাঠকের সঙ্গে এদিন শিশুদের উপস্থিতিও ছিল বেশ সন্তোষজনক। বিশেষ করে শিশুপ্রহরকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসা শুরু হয় তাদের। এরপর সিসিমপুরের বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি আর নিজেদের পছন্দমতো বইয়ের সঙ্গে সময় কাটায় তারা।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ছোটদের মজার মজার সব বইয়ের স্টল এবং বিনোদন কেন্দ্র নিয়ে সাজানো হয়েছে শিশু চত্বর। শিশু চত্বরে প্রবেশ করলেই মনে হবে এ যেন কোনো শিশু রাজ্য। যেখানে শিশু-কিশোরদের রাজত্ব। এখানে রয়েছে শিশু-কিশোরদের সায়েন্স ফিকশন, ভূতের গল্প, কৌতুক এবং ছড়াসহ নানা ধরনের সব বই।

শিশুপ্রহরে কথা হয় বই কিনতে আসা মাসুমা হক শাকিরার সঙ্গে। গত বছরের মতো এবারও তিনি বইমেলায় বই কিনতে এসেছে বান্ধবী সঙ্গে নিয়ে। বিজ্ঞান ও ছোটদের গল্পের বই তার ভীষণ পছন্দ। আর চার বছর বয়সী শিশু জিনাত জানায়, তার কার্টুন দেখতে ভালো লাগে। তাই সে কয়েকটি কার্টুনের বই কিনেছে।

মাসুমা হক শাকিরা বলেন, বইমেলা মানেই একটা আলাদা আকর্ষণ। বই পড়া হয়, কেনাও হয়। কিন্তু বইমেলায় এলে মনে হয় বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি।

ছেলে আবরারকে নিয়ে মেলায় এসেছেন আদনান-আরিফা দম্পতি। জানতে চাইলে তারা বলেন, মেলার প্রথম দিন থেকেই বাচ্চার আবদার মেলায় আসবে। তাই ওকে নিয়ে মেলায় আসা। ওর পছন্দ মতো কিছু বইও কেনা হবে।

শিশুপ্রহরে শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে সিসিমপুরের বিভিন্ন চরিত্রগুলো। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় সব মজার মজার বই সাজানো রয়েছে এ প্রাঙ্গণে। একই সঙ্গে শিশু চত্বরে সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গেও সময় পার করে আনন্দিত শিশুরা।

তবে বইমেলা থেকে দর্শনার্থীরা খালি হাতে ফিরলেও হতাশ নন প্রকাশকরা। তারা বলছেন, গত তিন-চার বছরের চেয়ে এবার বইমেলায় দারুণ কিছু হবে। করোনা নেই, রাজনৈতিক অস্থিরতাও নেই। দেশে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বইমেলা শুরুর প্রথম দুদিন বৃষ্টি হওয়ায় ধুলাবালিও কম। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। সুতরাং বইমেলা নিয়ে আশাবাদী সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।