ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

একুশে বইমেলায় ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে আসি: রুদ্র গোস্বামী

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
একুশে বইমেলায় ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে আসি: রুদ্র গোস্বামী রুদ্র গোস্বামী, মাঝে

ঢাকা: বাংলাদেশের বইমেলায় ২০১৭ সাল থেকে আসেন ওপার বাংলার কবি রুদ্র গোস্বামী। যিনি এ বাংলায়ও তুমুল জনপ্রিয়।

 

এবারের একুশে বইমেলায় বাংলাদেশের প্রকাশনী ‘অনিন্দ্য প্রকাশ’ থেকে বের হয়েছে তার তিনটি কবিতার বই। তিনটি বই- তুমিও ভালোবেসো, ফুল নিয়ে এসো, থেকো হৃদয়েই।

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বইমেলা নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।  

বাংলানিউজ: বাংলাদেশের ‘অমর একুশে বইমেলা’য় এসে কেমন লাগছে?

রুদ্র:  এবারই প্রথম নয়, আমি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের বইমেলায় আসছি। কলকাতার বইমেলা শেষে দুইদিন অবসর কাটাই, তারপর বাংলাদেশের বইমেলায় আসি।  

আমার কাছে বইমেলা হচ্ছে উৎসব। মানুষের হৃদয় বা মনের কোনো জেন্ডার নেই। বাংলাদেশ আর কলকাতার বইমেলা তেমন, জেন্ডারলেস। আমার কাছে কোনো পার্থক্য নেই।  

তোমাকে দুটো কথা বলি- ভালোবাসা পেলে ভালো কথা বলে মানুষ। ভালো কথা পেলে ভালোবাসে। আমি ভালো কথা ও ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে আসি।  

বাংলানিউজ: বাংলাদেশের বইমেলার সঙ্গে কলকাতা বইমেলার সঙ্গে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

রুদ্র: কলকাতার বইমেলায় খাবারের স্টলে বইমেলার চেয়ে বেশি ভিড় থাকে। খাবারের স্টল বইমেলার বাইরে করা উচিত। যদিও এখানকার (একুশে বইমেলা) বইমেলার খাবারের স্টলে আমি যাই নাই। এখানে যেহেতু একপাশে, সেহেতু এটা ভালো দিক।

আর ভালো দিকটা হচ্ছে, বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের বইমেলায় নিয়ে আসছেন।

বাংলানিউজ: নতুন প্রজন্ম নিয়ে কী ভাবছেন?

রুদ্র: আমরা যেমন অনেক কিছু হারিয়েছি, তেমনি অনেক কিছু পেয়েছিও। আমরা এ প্রজন্মকে পেয়েছি, ফেসবুকে গল্প লেখে, কোথাও ঘুরে এসে ভ্রমণ কাহিনী লেখে দেখেছি। মানুষকে সেটাও তো জানানো। এর মধ্য থেকে নতুন লেখক বেরিয়ে আসবে। ভাষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবাইকে খারাপ করে দিল, এমন না। আমরা ভালো কিছু আগলে রাখি। যা না, তা গ্রহণ করি না। আমরা তো জানি, আমাদের তো ভয় নেই।

বাংলানিউজ: আপনার বই কেমন বিক্রি হচ্ছে? 

রুদ্র: বইমেলায় এসে দেখি দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয়েছে। অনেক পাঠক আসছেন, দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এনবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।