[নানান কারণে বছরের শুরুর লগ্নে জাতীয় গুরুত্ব ও মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসেন গ্রন্থ-প্রকাশকরা। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের অভিজাত প্রকাশনী সংস্থাগুলো কারা কী বই প্রকাশ করছে— লেখক, পাঠক ও সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসে এইসব প্রসঙ্গ।
আসন্ন অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে ২০১৪ কেন্দ্র করে বাংলানিউজের নতুন আয়োজন ‘প্রকাশক সমীপেষু’। প্রকাশনা খাতের নানান বিষয়, সমস্যা, সম্ভাবনা ও একটি প্রকাশনা সংস্থা গড়ে উঠবার পেছনের গল্প অন্বেষণে আজ থাকছে ‘শুদ্ধস্বর’-এর সত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ চৌধুরীর সঙ্গে তানিম কবির’র আলাপ। ]
বই প্রকাশের দায়িত্ব নিলেন কেন? এ পেশায় আপনার আগমনের গল্পটা কী?
শুদ্ধস্বর ছিলো একটা লিটল ম্যাগাজিন। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে এর যাত্রা শুরু হয়েছিলো। এটা তো সবারই জানা, লিটল ম্যাগাজিন মানেই তারুণ্যের সম্মিলন। শুদ্ধস্বরকে কেন্দ্র করেও কিছু তরুণ জড়ো হয়ে গিয়েছিলো। যারা সাহিত্যের ভেতর বুঁদ হয়ে থাকতো। লেখালেখি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতো। এভাবেই দিন চলছিলো। আমি আমার একটি কবিতার বই প্রকাশ করেছিলাম। সেটা অবশ্য একটু আগে আগেই হয়ে গিয়েছিলো। এই বই প্রকাশ নিয়ে কিছু অভিজ্ঞাতা হয়েছিলো এবং প্রকাশকদের প্রতি কিছু ক্ষোভও তৈরি হয়েছিলো।
পরবর্তীতে শুদ্ধস্বরেরই আরও দু’জন লেখক যখন বই প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেন তখন প্রকাশকদের সাথে আলাপ আলোচনাগুলো কোথাও যেন আটকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই একটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো করে লিটল ম্যাগাজিন শুদ্ধস্বরের প্রকাশনায় আগমন ঘটে। দুই তরুণ কবির প্রথম কবিতার বই প্রকাশ করার মাধ্যমে শুদ্ধস্বরের প্রকাশক হওয়ার গল্পের শুরু। এই শুরুটা ছিলো একটা হঠাৎ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। কোনোরকম পরিকল্পনা ছিলো না এতে। তবে শুরু কারার পরে এটিকে দায়িত্বই মনে হয়েছে। প্রথম থেকেই আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম, তরুণদের বই প্রকাশ করবো এবং ভালো বই প্রকাশ করবো। আমি মনে করি পথ পরিক্রমায় দশ বছরে পৌঁছে গেলেও যাত্রা শুরুর অঙ্গীকারটি এখনও ভুলিনি। শুদ্ধস্বরের শ্লোগান “মন জোগাতে নয়, মন জাগাতে” সবসময়ই আমাদের পথনির্দেশক হিসাবে কাজ করে।
আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত? এরমধ্যে আপনার বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বইয়ের নাম শুনতে চাই।
শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় পাঁচশ’। তবে এর থেকে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক বই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আলাদা করা আমার পক্ষে অসম্ভব একটি ব্যাপার। আমি মনে করি এই বিবেচনার অধিকার পাঠক এবং সমলোচকরাই সংরক্ষণ করেন।
বই প্রকাশে মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আপনাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা কী? আপনার প্রতিষ্ঠানে কি সম্পাদনা পরিষদ আছে?
শুদ্ধস্বরের বই নির্বাচন ও মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি সক্রিয় সহযোগিতা করে থাকেন।
শুদ্ধস্বর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, কুপমণ্ডুক চিন্তার ধারক কোনো বই প্রকাশ করে না।
দেশের মানুষের আয় ও জীবন নির্বাহের খরচ বিবেচনায় বইয়ের মূল্য আসলে কী হওয়া উচিত? বইয়ের মূল্য নির্ধারণে আপনার প্রতিষ্ঠান কি কোনো নিয়ম অনুসরণ করে?
জীবনযাত্রার খরচ বিবেচনায় আমাদের দেশে বইয়ের দাম এখনও অনেক কম। বই উৎপাদনে যতগুলো সেক্টরের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় বা সহযোগিতা নেওয়া উচিত— তাদের সবার ন্যায্য পাওনা এবং লেখকের প্রাপ্য নিশ্চিত করতে বইয়ের দাম অবশ্যই জীবন যাত্রার অন্যান্য দিকগুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত।
শুদ্ধস্বর বর্তমান বাজারের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে বইয়ের দাম নির্ধারণ করে।
প্রকাশের পাশাপাশি সারাদেশে বই বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আপনার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কী? এই ভূমিকা কি প্রকাশক নিজে নেবেন, নাকি এ সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন?
বাজারজাতকরণের সূত্র অনুযায়ী যেকোনো পণ্যেরই বাজারজাতকরণ একটি আলাদা সেক্টরের কাজ। কিন্তু সৃজনশীল বই বাজারজাতকরণে বাংলাদেশের প্রকাশকদের এখনও এই আলাদা বিভাগটি গঠিত হয় নাই। এই ব্যাপারে উদ্যেগ নেওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশকদের করতে হবে। আসলে যেকোনো উদ্যেগের জন্যই সরকারি নীতিমালার প্রয়োজন আছে, সরকারি সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। আমি মনে করি প্রকাশনাকে শিল্প হিসাবে গড়ে তুলতে না পারার পেছনে পুঁজি একটি বড় সমস্যা। এ ব্যাপারে সরকার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রকাশনাকে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখকদের সাথে আপনাদের কী ধরনের চুক্তি হয়? লেখককে রয়্যালিটি দেওয়ার ব্যাপারে আপনার অথবা আপনার প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ কিংবা সীমাবদ্ধতা বিষয়ে কিছু বলুন।
লেখকদের বই আমরা চুক্তিসম্পন্ন করেই প্রকাশ করতে আগ্রহী। লেখকদের যথাযথভাবে রয়্যালিটি দিতে আমরা সবসময় আগ্রহী এবং প্রস্তুত। তবে পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এবং বিক্রিত বইয়ের সংখ্যার ওপর। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বাস্তাবতার সাথে ধারণার মিল না থাকার কারণে প্রকাশক-লেখকের মধ্যে নানানরকম জটিলতা, ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্রে সব প্রকাশকরাই যদি লেখকদের সাথে একটি সার্বজনীন চুক্তিনামা অনুসরণ করেন তাহলে জটিলতা অনেকটাই কমবে বলে আমি মনে করি।
প্রকাশক হিসেবে লেখকের কাছ থেকে কী ধরনের দায়িত্ববোধ আশা করেন? লেখকের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধের জায়গাগুলো কী?
বই প্রকাশের পুরো ব্যাপারটি লেখক প্রকাশকের পারস্পরিক দায়িত্ববোধের ব্যাপার। একজন লেখকের কাছে আমি প্রত্যাশা করি লেখক তার পাণ্ডুলিপিটি গুছিয়ে তৈরি করে আমার কাছে পাঠাবেন।
যেহেতু আমাদের প্রকাশনা মূলত একুশে বইমেলা কেন্দ্রিক হয়ে থাকে, লেখক যেন সম্পদনা ও অন্যান্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে পাণ্ডুলিপি প্রদান করেন। আমার হিসাবে পাণ্ডুলিপি তৈরি ও বই প্রকাশের মাঝখানে কমপক্ষে ১ বছর সময় থাকা প্রয়োজন।
লেখকের প্রকাশকের সম্পর্ক যেন পারস্পারিক সন্মানের, শ্রদ্ধার এবং ভালোবাসার হয়।
আর, একটা বিষয়ে লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই; দেখা যায় অনেকে প্রকাশনী সংস্থা থেকে বই প্রকাশ করছেন, আবার পিডিএফ বানিয়ে অনলাইনে সে বইয়ের টেক্সট ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিলি-বাটোয়ারা করছেন। এটা কিন্তু প্রফেশনাল আচরণ না। আমাদের লেখকরা শুধুমাত্র প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রফেশনাল আচরণ আশা করে নিজেরা সে বিষয়ে উদাসীন হয়ে যান কখনো কখনো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
অনেকে আমাদের এখান থেকে বই বের করে একই পাণ্ডুলিপি আবার পশ্চিমবঙ্গের কোনো প্রকাশককে ছাপতে দিয়ে দেন। এটা খুবই অনুচিত। ছোট পরিসরে হোক, সীমিত অবয়বে হোক, শুদ্ধস্বর বাংলা ভাষাভাসির সব জায়গাতেই নিজ উদ্যোগে বই পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আমার মনে হয়, অন্তত শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত পাণ্ডুলিপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদাভাবে ছাপানোর দরকার নেই।
বই পড়ার ব্যাপারে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণে মিডিয়া ও কর্পোরেট হাইসগুলোর কাছ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন?
সময়টা এখন মিডিয়া এবং কর্পোরেট ব্যবসার। মিডিয়া এখন তথ্য এবং বিনোদন সরবরাহের পাশাপাশি মানুষকে নানাভাবে, নানা বিষয়ে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা পালন করছে। আমি মনে করি একজন পড়ুয়া মানুষ একটা সামাজের, একটা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যে মানুষ বই পড়ে সে মানুষ পারতপক্ষে সমাজ ও দেশের ক্ষতির কারণ হয় না। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে পাঠকের সংখ্যা সর্বনিম্ন অবস্থানে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী শিক্ষিতের হারের সাথে পাঠকের হার তুলনা করলে লজ্জা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। তো বই পড়তে মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ব্যাপারে মিডিয়াগুলো বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। এটা অবশ্য পুরোপুরিই দায়িত্ববোধ এবং অঙ্গীকারের ব্যাপার।
তাছাড়া কর্পোরেট হাউসগুলো তাদের ব্যবসার প্রয়োজনে প্রমোশনাল খাতে যে বিশাল অর্থ ঢেলে থাকে, তারই একটা অংশ দিয়ে যদি বই ক্রয় করে তাহলে এতে করে লেখক প্রকাশকদের যেমন উপকার হবে তেমনি এই প্রয়াস পাঠক বৃদ্ধিতেও ভূমিকা পালন করবে।
প্রকাশনাকে শিল্পে পরিণত করার ক্ষেত্রে নিজস্ব কোনো কৌশল প্রস্তাব করবেন কি? এর যথার্থ শিল্পকরণ হলে প্রকাশকদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পাঠকদের বা যারা বই কিনবেন, তারা কি কোনো বাড়তি সুবিধা পাবেন?
প্রকাশনাকে শিল্প হিসেবে দাঁড় করানোর প্রশ্নে প্রকাশকদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রসঙ্গটিকে সামনে আনা একটি কমন ভুল, এবং এটি প্রকাশকদের জন্য অসম্মানজনকও বটে। তবু দেখা যায়, যারা লেখক, যারা সমাজের ভেতর মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতার জন্ম দেয়, বা যারা সাংবাদিক— তারাও প্রায় এমন ভাবেন, যে, প্রকাশনাকে শিল্পরূপে দেখতে চাওয়া বুঝি প্রকাশকদের নিজেদের আর্থিক লাভের জন্যই।
দেখুন, কোনো একটি সেক্টরের শিল্পকরণ মানে তো একটি ওই সেক্টরটিকে একটি বিশেষ আয়োজন, ব্যবস্থা বা সুসংহত একটি কাঠামোর মধ্যে ফেলা। সব সেক্টরের শিল্পকরণের প্রয়োজনও হয় না। প্রকাশনা একটি নিশ্চিত সম্ভাবনাময় খাত, কেন এর শিল্পকরণ হবে না? একটি বই লিখিত হওয়ার পর তা পাঠকের হাতে যাওয়া পর্যন্ত মাঝের যে ধাপগুলো আছে, আর ওই ধাপগুলোতে যারা কর্মরত, দক্ষ— প্রকাশনার শিল্পকরণে এদের সকলেরই স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে।
কর্মসংস্থান তৈরির যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, সে ব্যবস্থারই উচিত এধরনের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে চিহ্নিত করা, পৃষ্ঠপোশকতা করা।
আরেকভাবে দেখলে, একটি রাষ্ট্র বা সরকারের তো একটি শিক্ষিত জাতি নির্মাণে ভূমিকা রাখার দায়িত্বই থাকে। সে দায়িত্বের জায়গা থেকেও যদি দেখেন, ভালো ভালো বইগুলো পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখার আছে সরকারের। অথচ সরকারি ক্রয়নীতিতে বই কেনার জন্য কি একটি উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ আছে? নেই। সারাদেশের সরকারি লাইব্রেরিগুলো বছরে কী পরিমাণ বই কিনছে? এসবের কোনো স্পষ্টতা, জবাবদিহিতা নেই।
মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংক টু ডিজিট সুদে প্রকাশকদের ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করলো, কিন্তু শর্ত দিলো এই যে, ওই ঋণ পেতে হলে ঢাকায় প্রকাশকের নিজের বাড়ি থাকতে হবে। এই শর্ত দেখে মনে হয়েছে, ওই ঋণটি প্রকাশনাকে শিল্পকরণে নয়, বরং কোনো কোনো প্রকাশককে ব্যক্তিগতভাবে পৃষ্ঠপোষকতার কাজে ব্যবহৃত।
২০১৪ সালের বইমেলা নিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বলুন। এবারের প্রকাশিতব্য বইয়ের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আপনার পছন্দের কয়েকটি বইয়ের নাম শুনতে চাই।
প্রতিটি বইমেলা একজন প্রকাশককে বাধ্যতই নতুন স্বপ্নের মধ্যে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে একজন প্রকাশকের আসলে ভিন্নকিছু করার থাকে না। ওই স্বপ্নটি দেখা ছাড়া। আমার বা আমার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। অন্যান্যবারের মতো এবারও অনেক স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
কিন্তু সঙ্গত কারণেই এবার, আপনি জানেন, স্বপ্নের মধ্যেও দুঃস্বপ্নের ব্যাপক আনাগোনা। নানা সংশয় আর শঙ্কার মধ্যে আমরা প্রকাশকরা। এবং পাঠক লেখকদের মধ্যেও একই আশঙ্কা কাজ করছে। আশা করি, এরমধ্যে রাজনৈতিকভাবে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে দেশ।
আর, কয়েকটি বইয়ের নাম বলার ক্ষেত্রে এখানেও আগের বক্তব্যের পুনরোক্তি করতে হচ্ছে— নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক বই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আলাদা করা আমার পক্ষে অসম্ভব একটি ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৪
বইমেলা
আহমেদুর রশীদ চৌধুরী (শুদ্ধস্বর)
| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।