বই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৪ তে শিশুতোষ বইয়ের স্টলগুলো একত্রিত করায় অভিভাবকদের পাশাপাশি আনন্দিত শিশুরাও। এ বছর শিশুতোষ বইয়ের স্টলগুলোকে একই চত্বরে বেশ বড় পরিসরে পৃথকভাবে স্থান করে দিয়েছে বাংলা একডেমি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মেলার চতুর্থ দিনে দুপুর থেকেই মেলা প্রাঙ্গণের সোমেন চন্দ চত্বর-সালাম চত্বর-রফিক চত্বরে শিশুদের সমাগম দেখা যায় সবচেয়ে বেশি।
বিদ্যার দেবী স্বরস্বতী মায়ের অঞ্জলী শেষে কপালে তিলক নিয়েই মেলায় বেড়াতে এসেছে কোমলমতি শিশুরা। বই কিনতে এবং বেড়াতে কেউ এসেছে বাবা-মায়ের আঙুল ধরে। কেউ বা এসেছে জ্যেঠুর হাতের লাঠি হয়ে।
মেলা প্রাঙ্গণে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপ হয় মতিঝিল মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী তাসনিমার সঙ্গে।
প্রথমবার মেলায় এসে কেমন লাগছে- উত্তরে তাসনিমা জানায়, টোনাটুনি-ই বেশি ভালো, কার্টুনের বাড়িতে বইয়ের দোকান। ছোটদের বইয়ের দোকানই ভালো। সেখানে বেলুন আছে, কার্টুন আছে। অন্য দোকানে তো কার্টুন নেই, বেলুনও নেই!
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এ কে স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দ্বীপ বলেন, সবগুলো দোকান টোনাটুনির মতো হলে আরো ভালো হতো। টইটুম্বুর দোকানটাও সুন্দর কিন্তু বন্ধ।
শিশুদের মতের সঙ্গে একমত পোষণ করে রাজধানীর রামপুরা থেকে আসা শিপ্রা বলেন, আমার মেয়ে কঙ্কণাকে স্কুলে ভর্তি করবো। এখন থেকেই বইয়ের সঙ্গে যেন সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই বইমেলায় নিয়ে আসা। এবারের মেলায় শিশুদের জন্য আলাদা জায়গা ছেড়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় উদ্যোগ। তবে অনেক জায়গা রয়েছে এখানে, তাই শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখলে তারা আরো বেশি উৎসাহিত হতো বইয়ের মাঝে থাকতে। বাণিজ্যিক মেলা গুলোতেও এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে।
একই কথা বলেন রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা বিকাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয় বিনোদনের মধ্য দিয়ে। তাই বাংলাদেশের শিক্ষা এবং সাহিত্য চর্চায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান গ্রন্থমেলায় এ বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪