মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: যে কোনো মেলার মতো অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাণও পাঠক-দর্শনার্থী। প্রথমদিকে মেলা কিছুটা নিষ্প্রভ মনে হলেও সপ্তাহ গড়াতেই পূর্ণ প্রাণ ফিরেছে মেলায়।
চতুর্থ দিন থেকেই মেলায় কিছুটা বাড়তে থাকে পাঠক-দর্শনার্থীদের সমাগম। গতকালের মতো শনিবারও সরকারি ছুটি হওয়ায় ভিড় দেখা গেছে মেলায়। সকালে ছিল শিশুপ্রহর। ফলে সকাল থেকেই মুখর বইমেলা প্রাঙ্গণ।
মেলার প্রকাশক ও বিক্রেতারা বলছেন, এবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে বইমেলায়। গতবছর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন এবং মেলার কয়েকটি স্টলে আগুন লাগার কারণে শুরু থেকেই মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল কম। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত মেলায় এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকায় মেলায় পাঠক-দর্শনার্থী সমাগম প্রথম থেকেই তুলনামূলক বেশি।
তারা বলেন, বাংলা একাডেমি এবছর মেলা সম্প্রসারণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়ার কারণে পাঠক-দর্শনার্থী ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের বই দেখতে ও কিনতে পারছেন। তাই এবার মেলার পরিবেশ সুন্দর হওয়ায় পাঠক-দর্শনার্থীর সমাগম প্রথম থেকেই ভালো।
মেলার প্রকাশক ও বিক্রেতারা আরও বলেন, এবারের মেলা যেভাবে চলছে এভাবে চললে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার আয়োজন সফল বলতে হবে।
তবে মেলার স্টলগুলো দুই অংশে আলাদা না রেখে যদি পুরো মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হতো তাহলে মেলায় পাঠক-দর্শনার্থী সমাগম আরও বাড়তো বলে মনে করছেন তারা।
জনতা প্রকাশের প্রকাশক রফিকুজ্জামান হুমায়ন বাংলানিউজকে বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনসহ বেশ কিছু কারণে গত বছর মেলা না জমলেও এবার মেলায় পাঠক সমাগম অনেক ভালো, বিক্রিও বেশি। তবে মেলার দুটো অংশ হয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। পুরো মেলায় যদি এক জায়গায় আয়োজন করা যেত তাহলে আরও ভালো হতো।
বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি দেওয়ান তকি বাংলানিউজকে বলেন, এবার মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়ায় পরিসর বেড়েছে। পাঠক ঘুরে ঘুরে সময় নিয়ে বই পছন্দ করে কিনতে পারছেন। তাই এবারের মেলা প্রথম থেকেই জমেছে।
অনন্যার প্রকাশক হাফিজুল ইসলাম টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর অবশ্যই মেলা ভালো জমেছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। মেলা এবার তার আসল প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪