বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান ছিলেন মাটির গানের এক মহান সাধক। সাধারণ মানুষের চিরায়ত আনন্দ-বেদনা ওস্তাদ মোমতাজ আলী খানের গানে গভীর বাণীরূপ পেয়েছে।
রোববার বিকেলে এমনটাই জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।
বিকেল ৪টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ‘ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি একথা বলেন।
আলোচনায় আরো অংশ নেন বাবু রহমান, তপন বাগচী ও সাইম রানা।
সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
প্রাবন্ধিক বলেন, সাধারণ মানুষের চিরায়ত আনন্দ-বেদনা ওস্তাদ মোমতাজ আলী খানের গানে গভীর বাণীরূপ পেয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সপরিবারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আমরা তা চিরদিন স্মরণ করবো।
আলোচকরা বলেন, মোমতাজ আলী খান বাংলা সংগীতের লোক ও গণধারাকে শক্তিশালী করেছেন। বাংলার নিসর্গ ও মানুষ তাঁর গানে অনন্য ব্যঞ্জনায় ভাস্বর। প্রগাঢ় দেশপ্রেম থেকে সংগীত-সাধনার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিস্মৃতপ্রায় এই গুণীশিল্পীকে স্মরণ করে বাংলা একাডেমি আমাদের কৃতজ্ঞ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রচারবিমুখ ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান আমাদের সংগীতভুবনের এক বিরল নক্ষত্রের নাম। রক্ষণশীল সমাজের নানান প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তিনি আমাদের গানের জগতে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা। তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হলে আমাদের আজকের প্রজন্মের শিল্পীরা গানের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমের অঙ্গীকারকে ধারণ করতে পারবেন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে রুপু খানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রস্তাদ মোমতাজ আলী খান সংগীত একাডেমী’।
এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী নাদিরা বেগম, সাইদুর রহমান বয়াতি, আবদুল হালিম খান, আনোয়ার হোসেন, মির্জা শামসুল আলম, আজগর দেওয়ান, শান্তা সরকার, এমেলি পারভীন, আমজাদ দেওয়ান, লিপিকা বিশ্বাস ও শাহ আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪