বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় সাদা কাগজে ফুটে ওঠে মুখাবয়ব। চারুশিল্প বা চিত্রশিল্পের সঙ্গে সাহিত্যের এই নিবিড় সম্পর্ক অতি প্রাচীন।
পায়ে পা মিলিয়ে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সাহিত্য রক্ষায় লেখক সমাজের পাশাপাশি বেরিয়ে এসেছিলেন শিল্পী সমাজও। দীর্ঘ এই যাত্রায় লেখকদের হাত ছেড়ে যাননি শিল্পীরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ শুরুর দিন থেকে একই মাত্রায় এগিয়ে চলেছে চিত্র শিল্পীরাও। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে লেখক-শিল্পীদের মেলবন্ধন।
মঙ্গলবার বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপ হয় শিল্পী মিজানুর রহমানের। কেবল সখের বসে ছবি আঁকেন তিনি। ভালোবাসেন অন্যের ছবি এঁকে আনন্দ দিতে।
তিনি বলেন, বাঙালির ইতিহাসে ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি রক্ষায় আমাদের পূর্ব পুরুষরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আনন্দের বিষয় আগের চেয়ে এই যাত্রায় পথচারীর সংখ্যা অনেক বেশি। যেভাবে বইমেলা বিস্তৃতি লাভ করেছে, একইসঙ্গে শিল্পী এবং চিত্র প্রেমী মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।
তিনি বলেন, শিল্পী তো চাকরি বা ব্যবসা করে না। বেঁচে থাকতে টাকা প্রয়োজন তাই ছবি আঁকার বিনিময়ে টাকা নেন সত্য, তবে আঁকার পরে যিনি ছবি আঁকালেন তার আনন্দটা অনেক বেশি প্রিয় একজন শিল্পীর কাছে। গত আট বছর যাবৎ বইমেলায় ছবি আঁকছি। দেখে ভালো লাগে ইদানিং চারুকলার অনেক শিল্পীরা শিশুদের হাতে রঙ দিয়ে আলপনা এঁকে দিচ্ছেন। শিল্পীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন বাড়ছে চিত্র প্রেমীর সংখ্যাও। অনেকেই আসেন শুধু ছবি আঁকা দেখতে। বোঝা যায় ছবি দেখতে তারা ভালোবাসেন।
গ্রন্থমেলায় যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যুক্ত হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি শিল্পীরাও এই মেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হবে, তাদের জন্য বসার জায়গা থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪