মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক মুক্তির জগতে হবীবুল্লাহ বাহার এক অনিবার্য নাম হিসেবে উচ্চারিত হবে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার সাহিত্যকে জাতীয় জাগরণের মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার করেছেন। জাতির প্রগতিমুখী বিকাশের দিকে লক্ষ্য রেখে তার সমস্ত কর্মকাণ্ড ধাবিত ছিল।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের মুসলমান মধ্যবিত্তের ইতিহাস প্রসঙ্গে হবীবুল্লাহ বাহারের সাক্ষ্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিমুল্লাহ খান। এছাড়া ‘আমার বাবা হবীবুল্লাহ বাহার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পুত্র ইকবাল বাহার চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ আবদুল কাইউম, কাজী মদিনা এবং খুশী কবির।
প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার ছিলেন বাঙালি মুসলমানের যুগসন্ধির এক স্বাপ্নিক মানুষ। আমাদের নবজাগরণের তার ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। রাজনীতি ও সমাজচেতনার যুগলবন্দি ধ্বনিত হয়েছে তার সাহিত্যকর্ম, সম্পাদনা, প্রকাশনা ও সামগ্রিক জীবনসাধনায়। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পমুক্ত একটি উদার-সহিষ্ণু সমাজ গঠনে হবীবুল্লাহ বাহারের অবদান আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
আলোচকবৃন্দ বলেন, নজরুলের সঙ্গে হবীবুল্লাহ বাহারের সখ্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিসর ছাপিয়ে আজ আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অনিবার্য অংশে হিসেবে পরিগণিত। কারণ তারা উভয়েই বাঙালি মুসলমানের সার্বিক মুক্তি ও জাগরণের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বুলবুল পত্রিকা প্রকাশ এবং বুলবুল পাবলিশিং হাউসের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে সমকালীন চিন্তাচর্চার ক্ষেত্রেও হবীবুল্লাহ বাহার ভূমিকা রেখেছেন। বিস্মৃত এই বাঙালি মনীষাকে নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র’। এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ এবং ডালিয়া আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী বিশ্বজিৎ রায়, বদিয়ার রহমান, বীনা মজুমদার, শফিউল আলম রাজা, লুতু সরকার, জসীম উদ্দিন সজল এবং মো. আসলাম মিঞা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪