মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দুপুর গড়াতেই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় উপচেপড়া ভিড়। মেলার প্রবেশ দ্বারে আগতদের দীর্ঘ লাইন।
শুক্রবার মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টা থেকে। মেলার প্রথম প্রহরে লেখক-পাঠক, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
গতকাল বসন্ত বরণের পর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই শাহবাগ, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্ত্বর এলাকা জনারণ্যে পরিণত হয়। কথা, গল্প, আড্ডায় কাটলেও দুপুরের পর সবারই আগ্রহের জায়গা হয়ে ওঠে একুশে বইমেলা।
ফলে বিভিন্ন বয়েসী বইপ্রেমীরা স্রোতের মতো ধেয়ে আসছেন প্রাণের বইমেলায়। কেউ এসেছেন জীবনসঙ্গী নিয়ে কেউবা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। আবার কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে মেলায় প্রবেশ করছেন। আর মূল মেলায় প্রবেশ করতে তাদের সবাইকেই দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। কিন্তু এতে সামান্য বিরক্তি নেই কারো মাঝে।
লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় ঢুকতে কারো বিরক্তি না থাকলেও মেলায় প্রবেশ করেই বিরক্ত হচ্ছেন ধুলার কারণে। বিশেষ করে যেসব মা-বাবা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাদের ছোট্ট শিশুটিকে। তাদের অনেকেই প্রিয় সন্তানটি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এই ভয়ে মেলা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।
আর মেলার দুই অংশের বিড়ম্বনা তো আছেই। বেশিরভাগ মানুষ এখনো জানেন না সোহরাওয়ার্দীতে এবার মেলা বসেছে। তাই প্রচলিত ধারণা থেকে তারা প্রথমেই আসছেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মেলায়। তাছাড়া তথ্যকেন্দ্র থেকে এ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণাও দেওয়া হচ্ছে না।
ফলে অনেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মেলা থেকেই ফিরে যাচ্ছেন।
বর্ধমান হাউজের সিঁড়িতে বাংলা একাডেমি স্থাপিত তথ্যকেন্দ্রের পাশেই মিডিয়া সেন্টারে অনেক অভিভাবক এসে অভিযোগ করে গেছেন, এভাবে ধুলা উড়লে তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে মেলায় আসবেন না। তাদের অভিযোগ মেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পানি ছিটালেই এমনভাবে ধুলা উড়তো না।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে শিশু প্রহর। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। অভিভাবকদের দাবি শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ধুলা যেন না উড়ে সে ব্যবস্থা করবেন মেলা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪