বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বাংলা একাডেমিতে পাঠক কেবল বই কিনতে বা দেখতে আসবেন না, বাংলা একাডেমি হবে বিপন্ন বৃক্ষেরও ঠিকানা বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
বুধবার বিকেল সোয়া চারটায় একাডেমি মূলমঞ্চের তোরণের দু’পাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের মহাবিপন্ন তালিপাম বৃক্ষের দুটো চারা রোপণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ভাষার মাসে আমরা চেষ্টা করলাম প্রকৃতিকেও কিছু দিতে। দু’টি তালিপাম চারা রোপণ করা হয়েছে। আরও দু’টি দুষ্প্রাপ্য নাগলিঙ্গম বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে। নাগলিঙ্গম ঢাকায় মাত্র একটি ছিল। আখতারুজ্জামান চৌধুরীর সৌজন্যে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই পাঠকরা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে সাজানো বাগানে বিপন্ন গাছের সংস্পর্শ পাক। বাংলা একাডেমি গত ২৯ বছর যাবৎ বইমেলার আয়োজন করছে। বইয়ের পাশাপাশি বৃক্ষ রক্ষার চর্চাও করতে চাই আমরা। একইসঙ্গে চাই পাঠকরাও বৃক্ষপ্রেমী হয়ে উঠুক।
এসময় গুণগত মান বিচার করে তরুণদের বই প্রকাশের পাশাপাশি বাংলা একাডেমি গুণী লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
বাংলা একাডেমির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪