মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সারা বছরের জন্য একটা সেল গঠন করা দরকার। আর বইমেলার আয়োজনে মেলা শুরুর কমপক্ষে ছয় মাস আগে থেকেই সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বুধবার বইমেলা প্রাঙ্গণে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এমন মতামত প্রকাশ করেছেন অনুপম প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলনকান্তি নাথ।
তিনি বলেন, প্রকাশকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং প্রকাশকদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার সম্প্রসারণ এজন্য জরুরি ছিল যে, বাংলা একাডেমির ভেতরে নতুন নতুন বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির ফলে সেখানে মেলার মাঠ সংকুচিত হয়ে গেছে। এর ফলে সেখানে পাঠক স্বাচ্ছন্দ্যে বই দেখতে পারতেন না। কিন্তু এবার সে সমস্যা হচ্ছে না।
তবে ছোটদের বইয়ের জন্য বাংলা একাডেমি চত্বরে কিছু প্রকাশনাকে আলাদাভাবে স্টল দেওয়ার সমালোচনা করে মিলনকান্তি নাথ বলেন, শিশু চত্বরে শিশুদের বই প্রাপ্তির সহজলভ্যতার কথা বলে যেসব প্রকাশনীকে স্টল দেওয়া হয়েছে সেসব প্রকাশনীর অধিকাংশই মানহীন বই। কিন্তু আমরা যারা মূলধারার প্রকাশক রয়েছি তাদের সবারই শিশুদের জন্য প্রকাশিত বই রয়েছে। এর ফলে শিশু পাঠকরা ভালো বই থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, হয়তো মেলা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত শেষ সময়ে নেওয়ায় মেলা আয়োজনে কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। তবে তাতে আমাদের ক্ষোভ নেই। আশা করি আগামীতে এসব সমস্যার সমাধান করে মেলার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪